না’রীদের স’ঙ্গে তোলা হতো ‘অ”০শ্লী’ল ছবি’, লো’কল’জ্জার ভ’য়ে যেনো পু’লিশের কাছে যেতে না পারে

| আপডেট :  ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৩৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২২ অপরাহ্ণ

মু’ক্তিপ’ন আ’দায় শেষে চ’ ক্রের না’রী স’দস্যদের স’ঙ্গে ‘অ’শ্লীল ছবি’ তু’লে ছে’ড়ে দেওয়া হতো ভু’ক্তভো’গীদের। লো’কল’জ্জার ভ’য়ে যেনো পু’লিশের কাছে অ’ভিযোগ ক’রতে না পারে, সেই জন্যই চ’ ক্রটি এমন অ’ভিনব কৌ’শল প্রয়োগ করতো। এই অ0′ পহ’0রণ চ’ ক্রটির স’দস্যরা দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয়ভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।

তারা প্রথমে ভু’ ক্তভো’গীকে অ’ 0পহ’0রণ করে প’রিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের মু ‘0ক্তিপ’ণ দা’বি করত। এরপর ভু ‘ক্তভো’গীর পরিবার থেকে ২-৩ লাখ টাকা পেলেই তারা ভু ‘0ক্তভো’গীকে ছে’ড়ে দিত।পুলিশ জানিয়েছে, মু’ ক্তিপন হা’তে পাওয়ার পর ভু ‘0ক্তভো’গীকে ছে’ড়ে দেওয়ার আগে চ ‘0ক্রটি তাদের না’রী স’দস্যদের দিয়ে অ’ শ্লী’ল ছবি তু’লে রাখত। যেন সামাজিক লো’কল’জ্জার ভ’য়ে পু’লিশে অ’ভিযো’গ দিতে না পারে ভু ‘0ক্তভো’গীরা।

সুনির্দিষ্ট তথ্য ভিত্তিতে এমন চ’0 ক্রের ৬ জন স’দস্যকে গ্রে’প্তার করেছে ডিএমপির গো’য়েন্দার (ডি’বি) উত্তর বিভাগের একটি দল। আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পু’লিশ ক’মিশনার (ডি’বি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব কথা বলেন।গ্রে’প্তারকৃতরা হলেন- সাদেকুল ইসলাম, ইফরান, মোহাম্ম’দ আলী রিফাত, কুতুব উদ্দিন, মাছুম রানা ও গোলাম রাব্বি।

পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরা হাউজ বিল্ডিং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্বপাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় ৪/৫ জন অ’ জ্ঞা’তনামা অ ‘0পহ’0রণকারী চ ‘ক্রের সদস্য মাইক্রোবাসে করে তার কাছ আসে। পরে ভু’ 0ক্তভো’গীকে সুকৌশলে গাড়িতে তু’লে অ’জ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অ ‘0পহ’0রণকারীরা ভু ‘0ক্তভো’গীর স্ত্রী ও বড় ভাইয়ের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মু ‘0ক্তিপণ আদায় করে।

মু ‘0ক্তিপণ পাওয়ার পর চ ‘ক্রটির স’দস্যরা উত্তরার ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ফে ‘লে যায় ভু’ 0ক্তভো’গীকে। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মা’ম’লা রজু হয়। এই মা’ম’লার পরিপ্রেক্ষিতে ডি’বি উত্তর বিভাগের একটি দল এই চ ‘0ক্রের স’দস্যদের গ্রে’প্তারের করেছে। এর আগেও এই চ ‘0ক্রের ৩ স’দস্যকে গ্রে’প্তার করা হয়।

তিনি বলেন, চ’ ক্রটি দীর্ঘদিন ধরে স’ক্রিয়ভাবে অ ‘0পহ’0রণ করে আসছিল। নানা কৌ’শল অবলম্বন করায় ভু ‘0ক্তভো’গীরা ভ’য়ে পু’লিশের কাছে আসত না। চ ‘ক্রটি না’রী স’দস্যদের দ্বারা অ ‘0পহৃ’ত ব্য’ক্তিদের এমন কিছু অ ‘শ্লী’ল ছবি তু’লে রাখে যার ফলে ভু ‘0ক্তভোগীরা পরবর্তীতে সামাজিক ল’জ্জার ভ’য়ে আর পুলিশের কাছে অ’ভিযোগ দিতে পারে না।

এছাড়া তারা ভু ‘0ক্তভো’গীদের অ’0 স্ত্র দিয়ে ভ’ য়ভী’তি দেখাত তারা যেন পুলিশের কাছে পরবর্তীতে অ’ভিযো’গ দিতে না যায়। আর যদি পুলিশের কাছে কোনও অ’ ভিযো’গ দেয়, তাহলে অ ‘0শ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছ’ড়িয়ে দিবে বলেও হু ”ম’কি দিতো।

তিনি আরও বলেন, ভু”0ক্তভো’গীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কেউ যদি এই যদি এই চ ‘0ক্রটির মাধ্যমে অ ‘0পহৃ’ত হয়ে থাকেন, তাহলে গো’পনে আমাদের কাছে আসেন, আমরা সক্রিয়ভাবে তাদের বি’রু’দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে আমরা যখন এই চ’ ক্রের স’দস্যদের গ্রে’প্তার শুরু করি তখন ভু ‘0ক্তভোগীরা একের পর এক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৪ জন ভু ‘0ক্তভো’গী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

চ’ ক্রটি রাজধানীর কোন এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উত্তরা ও ঢাকা দক্ষিণের কিছু এলাকায় তাদের কার্যক্রমের ছাপ আমরা পেয়েছি। আসলে ঢাকার যেই জায়গায় সুবিধা পায় সেই জায়গায় তারা অ”0প0হরণ করে ।

এক্ষেত্রে তারা খুবই সাধারণ মা’নুষদের অ ‘0পহ’0রণ করত। যাতে করে নিউজ না হয় বা কোনও আলোচনা নয়। প্রথমে তারা মোটা অংকের মু ‘0ক্তিপণ দা’বি করলেও ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পেলে ভু ‘0ক্তভো’গীদের ছে’ড়ে দিত।