স্বল্প পুঁজিতে সময়োপযোগী ওয়ান টাইম কাপ-প্লেট তৈরী করে মাসে আয় করুন ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা!

| আপডেট :  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:৫৩ অপরাহ্ণ

সময়ের সাথে স্রোতের অনুকূলে ব্যবসা শুরু করতে না পারলে সে ব্যবসায় সফলতা পাওয়াটা বেশ শ্রমসাধ্য ব্যাপার হয়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছে বেশীরভাগ মানুষ। আর তাদের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন সফল উদ্যোক্তা।

শহর থেকে গ্রাম বেশীরভাগ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ওঠার ফলে খাবার-দাবার গ্রহনের ক্ষেত্রে একই পাত্র একাধিক বার ব্যবহারে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে সুযোগ তৈরী হয়েছে চা-কফি, জুস জাতীয় পানীয় এবং ফাস্টফুড, নাশতাসহ হালকা খাবারগুলো গ্রহনের ক্ষেত্রে ওয়ান টাইম ডিসপোজেবল প্লেট,কাপ, গ্লাস তৈরীর ব্যবসার।

এ ব্যবসার সামগ্রিক বাজার যে অবস্থায় ছিল তার থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও বেশ সংকটও আছে পণ্যগুলোর। সেই সাথে দামও বেড়েছে, বেড়েছে লাভের পরিমানও। আর এই সুযোগ গ্রহনের জন্য আপনি প্রস্তুত তো। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে শুরু করতে পারবেন ব্যবসাটি।

সর্বপ্রথম আপনার ব্যবসা স্থাপনের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করুন। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরী করুন। সাথে তৈরী করুন কাচাঁমাল ও তৈরী পণ্য মজুদের জন্য পর্যাপ্ত গোডাউন। ডিসপোজেবল কাপ প্লেট গ্লাস গুলো তৈরীর জন্য যে মেশিনগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো সাধারণত দুই ধরনের। একটি অটোমেটিক এবং অপরটি সেমি অটোমেটিক।

অটোমেটিক মেশিনগুলো সাধারণত শ্রমিক লাগে কম। এবং প্রতি মিনিটে প্রডাকশন হার থাকে বেশী। সেক্ষেত্রে সেমি অটোমেটিক মেশিনে লোকবল একটু বেশী লাগবে। সেই সাথে প্রতি মিনিটে প্রডাকশন হারও কমবে। কিন্তু সেমি অটোমেটিক মেশিন ও অটোমেটিক মেশিনের দামের পার্থক্য সাধারনত দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা।

অটোমেটিক মেশিনের ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। আর সেমি অটোমেটিক মেশিনের দাম পড়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। দেশীয় প্রযুক্তিতে এ ধরনের মেশিন তৈরী করিয়ে নিতে পারলে আরও সাশ্রয় করতে পারবেন। নিজস্ব জমিতে কারখানা স্থাপন করা সম্ভব না হলে ভাড়া নেওয়ার সময় অবশ্যই স্থায়ী চুক্তিপত্র করে নিবেন। আর কারখানা শুরুর পূর্বে অবশ্যই প্রয়োজনীয় লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিন।

ব্যবসার শুরুতে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে নিন। এবং নিয়মিত ব্যাংকিং মাধ্যম লেনদেন সম্পন্ন করুন। এতে করে ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যংক লোন পেতে সুবিধা হবে। আপনার মার্কেটিং দক্ষতা আপনার ব্যবসায়ের সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। সেজন্য পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নিজে অর্জন করুন। তা না হলে মার্কেটিং বিভাগ পরিচালনা করতে আপনাকে বেশ বেগ পেতে হবে।

এ ধরনের একটি মাঝারি কারখানা থেকে মাসে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। যদিও আয়ের বৃদ্ধি ও সংকোচন নির্ভর করবে আপনার পরিচালনার উপর। এ ব্যবসায় এককালীন ব্যয় একটু বেশী হলেও দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা অর্জন করতে চাইলে আপনাকে নিতে হবে স্থায়ী পরিকল্পনার পাশাপাশি সল্পমেয়াদী যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

ব্যবসায়ে আয় বৃদ্ধির সাথে অতিরিক্ত অযাচিত খরচ করবেন না। ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠানের জন্য জন্য সঞ্চয় করুন। সব সময় মনে রাখুন আপনার ধৈর্য্য ও লেগে থেকে পরিশ্রম করার মানসিকতাই আপনাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে। ব্যবসা ও পরিবারের যত্ন সবসময় নিন। কারন পৃথিবীতে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো আপনার পরিবারেরই সদস্য। শুভকামনা সকলের জন্য।