নিজের মুখে হাসি ফিরে পেয়ে সেই অটো চালকের মুখে হাসি ফোটালেন তাসরিফ খান

| আপডেট :  ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

নামাজ পড়তে গিয়ে অটোরিকশা হারানো প্রতিবন্ধী রশিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাশরিফ খান। তিনি তাকে এক লাখ টাকা মূল্যের পুরাতন একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছেন। এছাড়া, ঋণ পরিশোধের জন্য গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়ল ২৫ ও মাওনা চৌরাস্তার পুকুরপাড় জামে মসজিদের মুসল্লিরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছেন।

গত ২৪ মার্চ দুপুরে আব্দুর রশিদের অটোরিকশা চুরির ঘটনা নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘আয়ের অবলম্বন হারিয়ে কাঁদছেন রশিদ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

রাইজিংবিডিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রশিদের অসহায়ত্বের খবর দেখে শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে তাশরিফ খান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মাওনা চৌরাস্তায় যান। সেখান থেকে আব্দুর রশিদকে তাশরিফের ব্যক্তিগত গাড়িতে তুলে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় নিয়ে যান। সেখান তাশরিফ স্কোয়াড গাজীপুর টিমের সদস্যরা তাশরিফের উপস্থিতিতে পা হারানো অটোরিকশাচালক আব্দুর রশিদের কাছে একটি অটোরিকশা হস্তান্তর করেন।

তাশরিফ জানান, খবর দেখে গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে ফেসবুকে আমি রশিদের খোঁজ জানতে চাই। পরদিন সকালে রশিদের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিকেলে মাওনা চৌরাস্তায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি এবং তার অসহায়ত্বের কথা শুনি। পরে তাশরিফ স্কোয়াড গাজীপুর টিমের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রশিদকে ১ লাখ টাকা মূল্যের পুরাতন একটি অটোরিকশা কিনে দেওয়া হয়।

অটোরিকশাচালক আব্দুর রশিদ জানান, ছোট বয়সে একটি দুর্ঘটনায় এক পা হারাতে হয় তার। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ঘরে ২১ দিন বয়সী শিশু সন্তান, ২ বছর বয়সী ছেলে, স্ত্রী, মা ও বাবাকে রেখে উপার্জনের জন্য অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন। তার অটোরিকশার উপার্জনেই সংসার চলে।

সারাদিনের উপার্জনের টাকায় ইফতার তৈরির খাবার কেনার কথা ছিল। গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার পুকুর পাড় জামে মসজিদের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অটোরিকশাটি রেখে আসরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে রেখে যাওয়া অটোরিকশা না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি।

রশিদ বলেন, ‘এক পা না থাকায় আমি সব ধরনের কাজ করতে পারি না। অটোরিকশা চুরি যাওয়ার পর আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কিস্তি ও সংসার খরচ কী করে চালাবো, সে চিন্তায় অস্থির ছিলাম।

সবশেষ আল্লাহ্ তাশরিফ ভাইকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন, তিনি আমাকে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতা নাছির মোড়ল ভাইয়ের দেওয়া ২৫ হাজার টাকা ও মাওনা চৌরাস্তার পুকুর পাড় জামে মসজিদের মুসল্লিদের দেওয়া সাড়ে ১৩ হাজার টাকা দিয়ে আমি অটোরিকশার জন‌্য যে ঋণ নিয়েছিলাম তা পরিশোধ করবো।’