আহারে যদি ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম: অপি করিম

| আপডেট :  ৩ মার্চ ২০২৩, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ মার্চ ২০২৩, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

মিষ্টি হাসি, মায়াবী চাহনি আর নিখাদ অভিনয়শৈলির মুগ্ধতায় দর্শকদের মন জয় করা অভিনেত্রী অপি করিম। যদিও তার বিরুদ্ধে সবার মধুর অভিযোগ, নিয়মিত কাজ করেন না। ছোটপর্দায় তাকে গেলো সাত-আট বছরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর বড় পর্দা তথা সিনেমায় শেষ অভিনয় করেছিলেন ২০০৪ সালে। অর্থাৎ ১৯ বছর আগে। প্রায় দুই দশক পর অপি প্রেক্ষাগৃহে আসছেন।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘মায়ার জঞ্জাল’। কী ভেবে এতদিন পর সিনেমায় কাজ করলেন অপি? ছবির নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, সহশিল্পী ঋত্বিক চক্রবর্তী নাকি গল্প? নাকি যে চরিত্রে অপি অভিনয় করেছেন, সেই সোমার প্রেমে পড়ে?

বিষয়টি পরিষ্কার করলেন অকপটে বললেন, “খুব একটা সোমার প্রেমে পড়ে কাজটি করিনি। সোমা যে ধরনের চরিত্র, তার থেকেও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র আমি করেছি। আসলে ওই সময়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে জটিলতার মধ্যে ছিলাম। চাকরি, নিজের অসুস্থতা, বাবার অসুস্থতা, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যদি হাঁফ ছেড়ে কোথাও গিয়ে বাঁচতে পারতাম।

তখনই ইন্দ্রনীল দা’র কাজটির প্রস্তাব আসে। ওনার ‘ভালোবাসার শহর’ দেখেছিলাম, যেখানে জয়া আপা কাজ করেছেন। তো স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কাজের ইচ্ছে ছিল। ছবিটা দেখতে দেখতেই মনে হয়েছিল, আহারে আমি যদি ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম! আরেকটা বিষয়, আমি তো খুব কাজ করি না, যেহেতু এটা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সমন্বিত কাজ; সেক্ষেত্রে এটা একটা সুযোগ।”

তবে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ অপির যুক্ত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, “প্রধান আকর্ষণ তো ঋত্বিক। যেহেতু রেগুলার কাজ করি না, আবার কবে কখন ঋত্বিকের সঙ্গে একটা কাজের সুযোগ পাবো! সেই সঙ্গে গল্পটা খুব সুন্দর। তাই সোমা নয়, গল্পটাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এসব বিষয়ের যোগসূত্রেই ‘মায়ার জঞ্জাল’ করা।”

স্বল্প কাজের অভিযোগ নিয়েও ব্যাখ্যা দিলেন অপি করিম। অভিনয় তার কাছে ভালোবাসার কাজ। এরপরও কেন তাকে পর্দায় নিয়মিত পাওয়া যায় না? তার জবাব, ‘ভালোবাসার কাজগুলোর মধ্যেও আমি প্রাধান্যের বিষয়টা বজায় রেখেছি।

প্রথমে আমার পরিবার, এরপর পড়াশোনা, চাকরি; এর ফাঁকে যদি ভালো গল্প-চিত্রনাট্য পাই, সময়-সুযোগ হয়, তখনই আমি কাজ করি। যেটা আমি নিয়মিত করেছি, সেটা মঞ্চ। কারণ, সেখানে সন্ধ্যার পরে সময় দিতে হয়। সেটা রিহার্সাল বা শুটিং যা-ই হোক। এর বাইরে আসলে কোনও উত্তর আমার কাছে নেই।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ফটোজেনিক’ খেতাব অর্জন করা অপি করিম নাটক, টেলিফিল্ম, উপস্থাপনা, সিনেমা, মঞ্চ, বিজ্ঞাপন, নাচ আবার পড়াশোনা- সব ক্ষেত্রেই তার দ্যুতি ছড়ানো প্রতিভা। এছাড়া তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর আর্কিটেকচারের একজন অনুষদ সদস্য।