শিক্ষকের উপহার দেয়া সেই গাড়ি আনতে হবিগঞ্জ যাচ্ছেন হিরো আলম!

| আপডেট :  ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন হবিগঞ্জের এক শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম এম মখলিছুর রহমান। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজী আবদুল জব্বার জি এল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।

উপনির্বাচনের এক দিন আগে ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাসটি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। সে সময় নিজের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় ওই শিক্ষকের ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রথম দিকে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি হিরো আলম। যোগাযোগও করেননি। কয়েক দিন পর আবার আক্ষেপ প্রকাশ করে ভিডিও দেন ওই শিক্ষক। এরপর যোগাযোগ করেন হিরো আলম। অবশেষে সেই গাড়ি আনতে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জ যাচ্ছেন তিনি।

হিরো আলম ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকে মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হয়ে দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

ভিডিওতে এম মুখলিছুর রহমান বলেছিলেন, হিরো আলম ভোটের প্রচারে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে জয়ী হবেন কিনা জানি না। ফল যেটাই আসুক না কেন; আমি আমার গাড়িটি তাকে উপহার দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে হিরো আলমের নির্বাচনে ছয় লাখ টাকা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি ভিডিও করেছিলাম। অনেকেই সেখানে খারাপ মন্তব্য করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় আমি আমার নোহা গাড়িটি তাকে উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছি।

আমি সিলেটবাসীকে কলঙ্কিত করব না। আমি একজন প্রিন্সিপাল ফালতু ওয়াদা করি না। ওয়াদা অনুযায়ী আমি আমার গাড়িটি কাগজপত্র করে চিরতরে তাকে উপহার দেব।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মখলিছুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। তার সহকারী পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে হিরো আলমকে তিনি গাড়িটি উপহার দেয়ার ওয়াদা করেছেন। নির্বাচনে হারলেও সিলেটবাসীকে কলঙ্কিত করবেন না। ওয়াদা রাখবেন। হিরো আলম মঙ্গলবার মাইক্রোবাস নিতে আসছেন।

এদিকে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষক মুখলিছুর রহমান কথার ছলে এটা বলেছেন ভেবে প্রথম দিকে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। পরে আরেকটি ভিডিওতে এসে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে যোগাযোগ না করায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এ কারণে ভোটের দুই দিন পর গত শুক্রবার তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। গাড়ি উপহার দেয়ার কথা জানিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য মঙ্গলবার চুনারুঘাট যাচ্ছেন তিনি।