আমি খেলা দেখার পরই অঘটন শুরু হয়: পরিমণি

| আপডেট :  ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:২৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:২৮ অপরাহ্ণ

আর্জেন্টিনার সমর্থক অভিনেত্রী পরীমনি। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই নানা বাক্যে তিনি তার ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি। রোববার হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। এমন আনন্দে আপ্লুত পরীমনি। রোববার গভীর রাতে পরী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আমি কেমন বোকার মতো এখনো কানতেছি!’

দেশের একটি গণমাধ্যমকে পরীমণি বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, এখনও আমি ঘোরের মধ্যে আছি। মনে হচ্ছে এখনও খেলা চলছে। খেলার ফলাফল এই বুঝি কী হয়ে যায়। ঘোরই কাটছে না। আমার বয়সে এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ আগে দেখিনি। খেলা চলাকালে প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে আতঙ্কিত করেছে।’

পরীমনি বলেন, ‘ফলাফল কী হবে, এ নিয়ে গতকাল সারা দিনই আমার মধ্যে টেনশন কাজ করছিল। টেনশন কমাতে খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই আমি শুয়ে পড়ি। রাজ খেলা দেখছিল। যখন মেসিরা দুই গোল দিয়ে দেয়, তখন রাজ আমাকে খবরটি জানায়। আমি চিৎকার দিয়ে আবার খেলা দেখতে বসি।’ এরপর অঘটন শুরু হয়। খেলার শেষ পর্যায়ে গিয়ে ফ্রান্স গোল পরিশোধ করে দিলে পরীমনি আবার টেনশনে পড়ে যান।

ফ্রান্সের সাথে খেলায় প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পরে যখন গোল শোধ হয়ে যায় তখন পরীর হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। নায়িকা বলেন, ‘যখন গোল পরিশোধ হয়ে যায়, আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি আর টেলিভিশনের সামনে থাকতে পারিনি। ওই সময় আমার যা অবস্থা হয়েছিল, আর্জেন্টিনা হেরে গেলে আমাকে নির্ঘাত হাসপাতালে নিতে হতো রাজকে। ওই সময় আমি পাগলের মতো বারবার বলছিলাম, মেসি তুমি কিছু একটা করো, কিছু একটা করো।’

শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। এই জয় চোখে জল এনে দেয় পরীমণির। কেঁদেই যাচ্ছিলেন তিনি। তার স্বামী শরিফুল রাজ তা গোপনে ভিডিও করেন।

পরীর স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ। তিনি আবার ব্রাজিলের সমর্থক। কিছুদিন আগেই রাজ চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল জিতলে পরীমনিকে ইউরোপ ট্যুরে নেবেন রাজ। আর আর্জেন্টিনা জিতলে দুজন মিলে আর্জেন্টিনা যাবেন।

এদিকে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রাজের কাছে ঘুরতে যাওয়ার বায়না করেছেন অভিনেত্রী। ওই স্ট্যাটাসেই পরী লেখেন, ‘রাজ তাড়াতাড়ি আমাকে নিয়ে আর্জেন্টিনা চলো।’ আসলেই তারা ঘুরতে যাবেন, নাকি কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবেন এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমণি।

তিনি বলেন, ‘যখন গোল পরিশোধ হয়ে যায়, আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি আর টেলিভিশনের সামনে থাকতে পারিনি। ওই সময় আমার যা অবস্থা হয়েছিল, আর্জেন্টিনা হেরে গেলে আমাকে নির্ঘাত হাসপাতালে নিতে হতো রাজকে। ওই সময় আমি পাগলের মতো বারবার বলছিলাম “মেসি তুমি কিছু একটা করো, কিছু একটা করো।”’