সৌদি আরবের কাছে প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে খেলেছি: মেসি

| আপডেট :  ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

টানা ৩৬ ম্যাচ অজেয় আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিট ছিল। কিন্তু সৌদি আরবের কাছে হার বড় ধাক্কা দিয়েছিল। এরপর গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল হয়ে দাঁড়ায়। একে একে সব বাধা ডিঙিয়ে ফাইনালেও উঠে গেলো আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালের পর আবারও স্বপ্নপূরণের খুব কাছে অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কাতারে অ্যাসিড টেস্টে পাস করায় আর্জেন্টিনার প্রশংসা করলেন তিনি।

আগামী রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে। মঙ্গলবার ফাইনালের ভেন্যুতেই ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় তারা। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করতে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স ও মরক্কো।

৩৫ বছর বয়সী মেসি ৩৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন। এরপর দুই অর্ধে জুলিয়ান আলভারেজ করেন দুটি গোল। প্রথমটি একার প্রচেষ্টায় করেন। আর দ্বিতীয় গোলে জাদুকরী অবদান রাখেন মেসি।

একটিমাত্র দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হেরে ট্রফি জিতেছে, ২০১০ সালে স্পেন। এবার আর্জেন্টিনাও কি সেই সৌভাগ্য অর্জন করবে? রেকর্ড ২৫তম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমে জার্মানির লোথার ম্যাথাউসের পাশে বসেন মেসি। ১১তম বিশ্বকাপ গোল করে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার আর্জেন্টিনা রেকর্ড ভাঙেন তিনি।

ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘আমি বলবো যে প্রথম ম্যাচ ছিল আমাদের সবার জন্য কঠিন ধাক্কা। কারণ আমরা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিলাম। এভাবে বিশ্বকাপ শুরু করা ছিল হতাশার, আমরা ভাবিনি যে সৌদি আরবের কাছে হারতে পারি। পুরো স্কোয়াডের জন্য ছিল একটা অ্যাসিড টেস্ট কিন্তু এই স্কোয়াড প্রমাণ করেছে আমরা কতটা শক্তিশালী।’

প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে খেলেছেন মেসি, ‘আমরা অন্য ম্যাচগুলো জিতলাম। আমরা যা করেছি তা ছিল খুব কঠিন, কারণ প্রতিটি ম্যাচ ছিল ফাইনাল এবং আমরা সতর্ক ছিলাম যদি আমরা না জিততে পারি তাহলে আমাদের জন্য জটিল ঞয়ে যাবে।’

কতটা মানসিক চাপে ছিলেন সেটাও জানালেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী, ‘এটা মানসিক চাপ কারণ আমরা জানতাম আমাদের জন্য বিষয়গুলো জুটিল। আমরা পাঁচটি ম্যাচ জিততে পারলাম এবং আমি আশা করি ফাইনাল খেলাও এভাবেই হবে।’

দলের প্রতি সবসময় বিশ্বাস ছিল অধিনায়কের, ‘ভেতরে ভেতরে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরা পারবো। কারণ আমরা জানতাম দল হিসেবে আমাদের সামর্থ্য কী। আমরা প্রথম ম্যাচ হারলাম, কিন্তু এটা আমাদের আরও শক্তিশারী করে তুলেছিল।’

ভক্তদের মুখে হাসি এনে দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত মেসি, ‘চলুন এই মুহূর্ত উপভোগ করি। এখানে ও আর্জেন্টিনায় আমাদের ভক্তদের আনন্দ দেখতে পারা দারুণ। ফাইনালে আমাদের যা আছে তার সবকিছু দিতে যাচ্ছি কিন্তু আমরা যা অর্জন করেছি সেটাও উপভোগ করতে হবে। আমি এই মুহূর্ত উপভোগ করছি। আমরা ম্যাচের আগেই শক্তিশালী অনুভব করছি, এমনকি আগের ম্যাচ থেকে। যদিও ম্যাচটা সহজ ছিল না। আমরা ক্লান্ত ছিলাম কিন্তু এই দল এই ম্যাচে খেলার জন্য মাঠে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নেমেছিল।’