জাপটে ধরা সেই প্রবাসীকে নিয়ে মুখ খুললেন শাবনূর

| আপডেট :  ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

নব্বই দশকে বাংলা চলচিত্র ছেড়েছেন কিন্তু তার জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি। তিনি হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। সিনেমা অঙ্গন থেকে হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয় এই তারকা দেশ ছেড়ে কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। দেশের বাইরে থাকলেও তার ছোট ছোট বিষয়েও খবরের শিরোনামে পরিণত হন শাবনূর।

সম্প্রতি শাবনূর তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবিগুলো সামনে আসার পর মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়, ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে। নেটিজেনরা ধারণা করছেন, সম্ভবত ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন শাবনূর।

বুধবার শাবনূরের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে এমন ডজন খানেক ছবি প্রকাশ হয়। যেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ফটোশুট।’ একটি ছবিতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির কাঁধে মাথা রেখে তার শরীরের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়ে পোজ দিয়েছেন শাবনূর। দুজনের মুখেই হাসি। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা যেমন ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা দেন, ছবিগুলো ঠিক তেমন।

আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, শাবনূরের ঘাড়ের ওপর দিয়ে হাত দিয়ে তাকে জাপটে ধরে রেখেছেন ওই ব্যক্তি। আরেকটিতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি বসে আছেন এবং শাবনূর পেছন থেকে যুবকের ঘাড়ের ওপর হাত রেখে তার দিকে ঝুঁকে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন।

অবশেষে বিষয়টি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন শাবনূর। তিনি বলেন, এটি তেমন কিছু নয়। তবে মানুষ কী চোখে দেখেনি যে, স্ট্যাটাসে আমি ফটোশুট লিখেছি। এটা কোনো কথা হলো, আমাকে একদম বিয়ে পড়িয়ে দিচ্ছে।

শাবনূর বলেন একটি ফটোশুট করেছিলাম একটা সিনেমার জন্য। ডিরেক্টর বাদল খন্দকার বলেছিলেন আমার এই টাইপের একটা হিরো লাগবে। দেখ তো তোমার চোখে পড়ে কি না। পড়লে ওর সঙ্গে ফটোশুট করে পাবলিকলি দাও। পাবলিক যদি পছন্দ করে তাহলে তাকে হিরো বানাব। আমি আসলে সবসময় নতুন নায়ক প্রমোট করতে চাই। তাই এ ছেলেটার সঙ্গে ফটোশুট করে ফেসবুকে দিই। এর আগে সিয়ামের সঙ্গে একটা ছবি দিয়েছিলাম। ব্যস, এই তো আর কিছুই না। আর এটি নিয়েই আমাকে একেবারে বিয়েশাদি দিয়ে দিল। কান্ড দেখে হাসতে হাসতে আমি আর নেই।

সত্যি সত্যি বিয়ের পিঁড়িতে কখন বসছেন? এমন প্রশ্নে শাবনূর বলেন, দেখুন, জীবন তো কারও জন্য থেমে থাকে না। জীবনটা যেভাবে চালাবেন সেভাবেই চলবে। বিয়ে করে যে আমাকে রাজা হতে হবে এমন কিছু নয়। বিয়ে করার দরকার ছিল করেছিলাম, বাচ্চার দরকার ছিল নিয়েছি। এখন আবার বিয়ে করে লাটে উঠে যাব তা কিন্তু নয়। বিয়ে করলে যে খুব ভালো এবং না করলে খুব খারাপ থাকব এমন তো নয়। বিয়ে না করেই বরং আমি স্বাধীন আছি। বিয়ে না করেই আমার ইচ্ছা ও স্বাধীনতা নিয়ে আমি চলতে পারছি।

ব্যক্তিগত জীবনে আমি স্বাধীনতাকে খুব পছন্দ করি। আমি মনে করি আবার যদি বিয়ে করি তাহলে আবার একটি বাইন্ডিংসে জড়িয়ে যাব। দায়িত্ব-কর্তব্য পালন আর বাধার মুখে পড়তে হবে। এসব আর ভালো লাগে না আমার। আমি একটি স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ। আমি ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে বেড়াতে চাই। মুক্ত বিহঙ্গ যেমন ঘুরে উড়ে বেড়ায় আমিও তেমন চাই। একটা হাজব্যান্ড লাইফে থাকলেই কি না থাকলেই কি। কারণ আমি তো সেলফ ডিপেনডেন্ট। অনেকে বলে একা কীভাবে থাকবে। এটা ভুল ধারণা। দেখুন কত মানুষ সিংগেল লাইফ লিড করছে, কত সিংগেল মাদার রয়েছে এই অস্ট্রেলিয়ায়। তারা তো বেশ ভালোই আছে। আমিও একাকী ভালো থাকতে চাই।

দেখুন, কোনো বাইন্ডিংস না থাকলে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়। সবার লাইফ পার্টনার তো আর ভালো হয় না। বাইচান্স খারাপ পড়ে গেলে জীবনের কী অবস্থা হবে বলুন তো। ধরুন একটা কিছু এচিভ করতে যাচ্ছি কিন্তু আমার হাজব্যান্ড তাতে বাধা দিয়ে বসল। বলল, ওখানে না গেলে কি নয়, কাজটা না করলে কি নয়। বলেন, এভাবে কি বাধার মুখে আর এগোনো যায়। আরেকজন জীবনে এসে আমার ওপর পোদ্দারি করুক এটি আমি আর মেনে নিতে পারব না। আমি বাস্তবতা মেনে নিয়েছি। একাকী আমি আমার জীবনটা এনজয় করছি। বাকি জীবনটা এভাবেই ভালো থাকতে চাই।