সে আমার ছোটবোনের মতো, সরি বলার তো কিছু নেই: মীর সাব্বির

| আপডেট :  ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০৮:১০ অপরাহ্ণ

‘এই মাতারি তুমি এরম উদলা গায়ে দাঁড়ায়ে আছো কিয়েরলিগা’জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বিরের এমন একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অভিনেতা উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েলকে উদ্দেশ করে কথাগুলো বলতে দেখা যায়। তখন বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলেও পরবর্তীতে এটি নিয়ে সরব হয়েছেন ওই উপস্থাপিকা। নানা প্লাটফর্মে সাক্ষাৎকারে মীর সাব্বিরকে নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন।

অন্যদিক মীর সাব্বির বলছেন, ‘এটি শ্রেফ বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা। আপত্তিকর নয়।’ গ্র্যান্ড ফিনালেতে উপস্থাপিকা ইশরাত পায়েল অভিনেতা মীর সাব্বিরকে মঞ্চে ডাকেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মীর সাব্বির জানান, তিনি প্রথম কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক হয়েছেন। উপস্থাপিকার কাছে জানতে চান, জীবনানন্দ দাশের বাড়ি কোথায়? ইশরাত পায়েল বলেন, নির্দিষ্ট করে জানি না। তবে এতটুকু জানি বরিশাল। তখন মীর সাব্বির ধন্যবাদ দেন।

তখন ইশরাত পায়েল বলেন, আপনার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় নাটক খুবই জনপ্রিয়। ওই ভাষায় দুটি লাইনে ডায়ালগ শুনতে চাই! মীর সাব্বির বলেন, ওতটা মনে রাখতে পারি না। উপস্থাপিকার অনুরোধে তাৎক্ষণিক তার দিকে তাকিয়ে বরিশালের মীর সাব্বির বলেন, ‘এই মাদারি তুমি এমন উদলা হইয়া দাঁড়ায়ে আছো কিল্লেইজ্ঞা?’ শুনে সঙ্গে সঙ্গে হেসে দেন উপস্থাপিকাসহ উপস্থিত অতিথিরাও।

পরে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ইশরাত পায়েল বলেন, উনি নারীর পোশাক নিয়ে যে মন্তব্যটি করেছেন সেটি অশোভন। আমি ওয়েস্টার্ন পোশাকে ছিলাম। বুঝতে পারছি না। উনি বুঝে বলেছেন নাকি না বুঝে বলেছেন। এটা এক প্রকার বুলিং। ওনার সরি বলা উচিত ছিল।

বিষয়টি নিয়ে গত দুদিন শোরগোল পড়ে যায় অনলাইনে। বুধবার বিকেলে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মীর সাব্বির।

‘যেটা বলেছি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় এটা খুবই নরমাল। নাটকে এই সংলাপ অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। বরিশালের আঞ্চলিক অনেক শব্দ আছে যা অন্য অঞ্চলের মানুষের কাছে অশ্লীল মনে হতে পারে! আমি যেটা বলেছি সেটা কোনো ইনটেনশন নিয়ে বলিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েও কিছু বলিনি। যা বলেছি মজার ছলে। যখন বলেছি, সবাই হেসে রিসিভ করেছে। পরে সে হয়তো ভেবেছে আমি বুলিং করছি। বুলিং ভারি শব্দ। আমি তা করিনি।”

মীর সাব্বির বলেন, আমার ২৫ বছরের ক্যারিয়ার। আগে কেউ কখনো বলতে পারবে না আমি কাউকে ছোট করেছি। ইশরাত পায়েল আমার ছোটবোনের মতো। সে হয়তো ভুল বুঝছে। এখানে আনুষ্ঠানিক সরি বলার তো কিছু নেই। যেহেতু সে আমার ছোট বোন, ফোন করেই আমাকে বললে পারতো, ভাইয়া আমার খারাপ লেগেছে। আর সে ছোটবোন তাই কষ্ট পেলে দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি, আনুষ্ঠনিকভাবে সরি বলার মতো কিছু না এটা।

‘আমি কোনো অ’শ্লীল শব্দ উচ্চারণ করিনি। উদলা মানে উলঙ্গ নয়, শব্দটা আঞ্চলিক এটার অর্থ আকর্ষণীয়। মানে তাকে বলেছি তুমি আকর্ষণীয়ভাবে দাঁড়িয়ে আছো। আমার মনে হয়, সে ভুল বুঝেছে অথবা তাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমি মনে করি, এটা কোনো আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে না। শত শত নাটক করেছি। আমার কোনো বাজে ইনটেনশন থাকতো এমনসব বরিশালের শব্দ ব্যবহার করে বিপটোন দিয়ে চাইলেই ভাইরাল হতে পারতাম! আমি সবসময় বরিশালের ভাষাটাকে মানুষের মনে বসাতে চেয়েছি। এটা নিয়ে কোনো বাজে উদ্দেশ্য নেই। ভবিষ্যতেও আমার নেই।”