সব
‘আমি শেহতাজ ও তাঁর মাকে একসঙ্গেই ডেকেছি। মুখোমুখি হয়ে বলেছি আপনার মেয়েকে বিয়ে করেবো। তার মা আপত্তি করেননি। আমাকে শুধু একটা তালিকা ধরিয়ে দিয়েছেন, যেখানে উল্লেখ আছে কখন কোন সময় কি কি করতে হবে। আমি বলেছি ঠিক আছে। তারপর তো শেহতাজকে বিয়ে করেই ফেললাম।’
বিয়ে পরবর্তী সময়ে একটি সংস্থার আয়োজনে নির্বাচিত কিছু শ্রোতা-ভক্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী প্রীতম হাসান। সেখানেই তিনি শেহতাজের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
প্রীতম বলেন, ‘শেহতাজের সঙ্গে আমি পাঁচ বছর ধরে আমি প্রেম করেছি। আমি তার সঙ্গে জাদুকরের সময় থেকেই ডেটিং করছি। আমি তার মা ও তাঁকে একসঙ্গে রেখে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। আমি দুজনকে ডাকছি, আন্টিকে মানে এখন আমার আম্মা। তাঁকে বলছি, দেখেন আপনার মেয়েকে আমার ভালো লাগে। শেহতাজকে আমি বললাম, শেহতাজ তোমাকে আমার ভালো লাগে, তোমার সবকিছুই ভালো লাগে, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। ’
জাদুকরের গানের কথা উল্লেখ করে প্রীতম বলেন, ‘শোনো জাদুকরের গানের কথা হলো মন নিয়ে আমি করি না খেলা। আমার পকেটে ৭০০ টাকা আছে, অতবেশি কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই, কিন্তু আমার হৃদয় আছে। ’
মেয়েদের উদ্দেশে প্রীতম বলেন, ‘মেয়েরা তোমরা জানো কে ভালো কে খারাপ। যার পকেটে ৭০০ টাকা আছে, সে ওই টাকা দিয়েই তোমার সঙ্গে ডেটে যেতে চাচ্ছে। তোমার ওই সময় টাকা নয় হৃদয়কে সমর্থন করা দরকার- এটা তুমি জানো। ’
নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রীতম হাসান বলেন, ‘শেহতাজ যখন আমার সঙ্গে প্রেম করে তখন আমি একদম নতুন। কেবল শুরু করেছি। ওই জাদুকর গানটা, অতটা ভিউও হয়নি। এখন পর্যন্ত ভিউ হয়নি তেমন। আমি তাঁর সঙ্গে সৎ ছিলাম বলেই সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। একটা ভালো পার্টনারের সঙ্গে সততা সবচেয়ে বেশি জরুরি। ’
গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে শেহতাজ মুনিরা হাশেম ও প্রীতম হাসানের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।