আজ বাকের ভাইয়ের জন্মদিন

| আপডেট :  ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১১:০২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

১৯৯৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বাকের নামে এক মা’স্তা’নের ফাঁ’সি দেন আদালত। সেদিন কেঁদেছিল পুরো দেশ। এমনকি ওই পর্ব বাতিলের জন্য দেশব্যাপী ব্যাপক মিছিল-সমাবেশও হয়েছিল।

মজার ব্যাপার হচ্ছে একটি নাটকের চরিত্রের জন্য এতো আলোচনা ছিল। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র বাকের। পরোপকারী স্বভাবের কারণে এলাকার লোকজনের কাছে ‘বাকের ভাই’ হিসেবে পরিচিত ছিল।
 
হুমায়ুন আহমেদের রচনায় পরিচালিত ধারাবাহিক ‘কোথাও কেউ নেই’ এর কালজয়ী বাকের ভাই চরিত্র রূপায়নকারী অভিনেতা এবং সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ৭৪তম জন্মদিন আজ। একাধারে অভিনেতা, আবৃত্তিকার, বিজ্ঞাপন নির্মাতা, ব্যবসায়ী, সফল রাজনীতিবিদ এবং সর্বশেষ একজন আদর্শ পিতা ও একজন আদর্শ স্বামী তিনি।

আসাদুজ্জামান নূর ১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবু নাজেম মোহাম্মদ আলী ও মাতার নাম আমিনা বেগম। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে তার পরিবার।

আসাদুজ্জামান নূর পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭২ সালে বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক চিত্রালীতে কাজ করার মধ্যদিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার অধীনে একটি ছাপাখানায় ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত দূতাবাসের প্রেস রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড এ (বর্তমানে এশিয়াটিক থ্র্রি সিক্সটি) জেনারেল ম্যানেজার পদে কাজ করেন।

১৯৭২ সাল থেকে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের নাট্য অঙ্গনের বিকাশের ধারায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত দলের ১৫টি নাটকে ৬০০ বারেরও বেশী অভিনয় করেছেন তিনি। নির্দেশনা দিয়েছেন দু’টি নাটক, যার ভেতর একটি দেওয়ান গাজীর কিসসা যা কিনা প্রায় তিন শতাধিকবার মঞ্চায়িত হয়ে সর্বোচ্চ প্রদর্শিত মঞ্চ নাটকের রেকর্ড গড়েছে।

আসাদুজ্জামান নূর ১১০ টিরও বেশী টিভি নাটক, সিরিজ নাটকে অভিনয় করেছেন। রেডিওতে প্রচারিত তার নাটকের সংখ্যা ৫০ এরও অধিক। তিনি মঞ্চের জন্য ব্রেখটেরে নাটকের বাংলা অনুবাদ, রবীন্দ্রনাথের তিনটি উপন্যাসের টিভি নাট্যরুপ এবং টিভির জন্য একটি মৌলিক নাটক রচনা করেছেন। ‘এ মোর অহংকার’ ও ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ তার পুস্তাকাকারে প্রকাশিত নাটক।

নিজস্ব পরিচালনায় তিনি ৫০টিরও বেশী বিজ্ঞাপনচিত্র ও ভিডিও ছবি নির্মাণ করেন। এর পাশাপাশি একজন স্বনামধন্য আবৃত্তিশিল্পী তিনি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই কিংবদন্তি।