প্রমিজ আর কোন ভুল মানুষের কাছে যাবো না: পরীমনি

| আপডেট :  ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢালিউড অভিনেত্রী শামসুন্নাহার পরীমনি। পরীমনির সব কিছুই যেনো অন্যদের থেকে আলাদা। বিশেষ করে তার জন্মদিন পালন হয়ে থাকে জামকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে। গেল ২৪ অক্টোবরম ছিলো জনপ্রিয় অভিনেত্রীর শুভ জন্মদিন। দিনটি ঘিরে ছিলো ভক্তদের মাঝে অন্যরকম উন্মাদনা। এবারের জন্মদিনে তিনি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন শান্তির বার্তা।

পরীমনির এবারের জন্মদিন ছিলো ভিন্নমাত্রার। তার কলিজার পুত্র রাজ্যকে নিয়ে তিনি জন্মদিন উৎযাপন করেন। জন্মদিনের অংশ হিসেবে তিনি বুধাবার তার ফেসবুক আইডীতে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। পোস্টের ক্যাপশনে ছিলো ‘একটা নতুন জন্মের গল্প’। ভিডীওটি তৈরি করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেন নি এই অভিনেত্রী।

ভিডিওটিতে রাজ্যর জন্ম নেওয়ার গল্প বলেন পরীমনি নিজেই। পরীর জীবনে শরিফুল রাজের আগমনের গল্প তুলে ধরেছেন। ভিডিওতে দেখা যায় রাজকে নিয়ে পরী অনেক অনেক প্রসংশা করতে। পরী জানায়, হঠাৎ করেই তার জীবনে আগামন ঘটে রাজের। পরীমনি প্রথম রাজকে প্রোপজ করেন। পরীমনির ভালোবাসার বার্তায় সাড়া দেন রাজ। এরপর তাদের মধ্যে কেমিস্ট্রি চলতে থাকে অতঃপর পারিবারিকভাবেই তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এখন তারা সুখেই সংসার করছেন।

ভিডিওতে পরীমনি নিজেই কন্ঠ দিয়েছেন। তার ভাষ্য, পরী শুধু উড়ে বেড়াতো এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য। ডুবে থাকতো বন্ধু, আড্ডা, ফেন-ফলোয়ার, ফ্যাশন, গ্লামার; সিনেমায় নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের নেশায়। শুধু কি সিনেমার পর্দায়, জীবনও যে তার কম নয়। আমার এই জীবিনের সিনেমায় রিয়েল হিরোটা যে কই!যার সাথে পথ কখনো ফুরায় না, চলতেই থাকে শুধু চলতেই থাকে। প্রমিজ আর কোন ভুল মানুষের কাছে যাবো না।

পরীর জীবনে যেভাবে প্রবেশ করলেন রাজঃ পরী জানান, প্রমিজ আর কোন ভুল মানুষের কাছে যাবো না। আমার ওস্তাদ গিয়াস উদ্দিন সেলিম। আমার জন্য এক গুনী নিয়ে এলেন। আর আমি মুখোমুখী হলাম সাদা পাঞ্জাবী পরা এক দূরন্ত যুবকের। কেন এমন লাগলো তাকে দেখে। একদিন ওস্তাতের অফিসে রাজ্যের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকেই কেমন কেমন করে শুরু হতে থাকে আমাদের কেমিস্ত্রী। শুটিংইয়ে রাজ্যের একটি ডায়োলগের মাধ্যদিয়ে রাজের কাছে আসা পরীর কাছে। ‘জীন পরীর কথা রাখো, তুমি আমার বুকে আসো’।

দ্বিতীয় যেদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো, সেদিন ওস্তাদের আমার বাসায় আসার কথা ছিলো। সিনেমার স্ক্রিপট নিয়ে কথা বলার জন্য। ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখি রাজ আমি হতবম্ভ হয়ে যায়। এরপর আমরা খেতে বসি। দেখি রাজ বাম হাত দিয়ে খাবার খাচ্ছে, কারণ ওর ডান হাত ভাঙ্গা ছিলো। সবাই আমাদের সামনে বসাছিলো, এতকিছু না ভাবে কেন জানি তাকে আমি আমার হাত দিয়ে খাওয়ালাম। খাওয়ানো শেষে আমার খুব লজ্জা লাগছিলো। কিছু মাস যাওয়ার পর বিয়ে হয়। একদিন সকালে এরপর পেটে বাচ্চা আসার কথা জানায়, রাজ সেদিন খুশি হয়েছিলো।

এরপর কনফার্ম হওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে যাই। সবাই সেদিন রাজ্যের হার্টবিটের শব্দ শুনি। সেদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে। সে আমাকে যেনো মাথায় রাখে না কোলে রাখে খেয়াল নাই তার। আমাকে মাটিতে পা ফেলতেই দেয় না। সেদিন আমাকে হুইল চেয়ারে করে ঘুরিয়েছিলো রাজ। এরপর প্রতিটা দিন রাত সে আমাকে খুব আগলে রেখেছে। এক মূহুর্তের জন্যেও দূরে রাখেনি। আমি রান্না করলেও সে আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো। রাজ আমার ভালোবাসার মানুষ।