সে-ই আমাকে ড্রিংক করিয়ে বেসামাল করেছে, এমন অবস্থায় আমি কি তসবি পড়বো…..

| আপডেট :  ৩ অক্টোবর ২০২২, ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ অক্টোবর ২০২২, ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

এবার ঢাকাই নায়ক শাকিব খানের বি’রুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান নারী প্রযোজক অ্যানি সাবমেরিনকে ধ”ণের অ’ভিযোগ এনেছেন মিলি সুলতানা নামের এক প্রবাসী সাংবাদিক। শনিবার (১ অক্টোবর) সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বি’ষয়টি তুলে ধরেন। অ্যানি সাবমেরিন বাংলাদেশি বংশদূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি “সুপারহিরো” সিনেমার সহপ্রযোজক। তাঁর স্বামী একজন ডাক্তার।

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। সম্প্রতি তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। তাকে নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে গো’পনে বিয়ে, এরপর স’ন্তান নিয়ে লুকোচু’রির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে অভিনেত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গেও।

যে গতকাল শুক্রবার স’ন্তানসহ ছবি প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। এরপর গুঞ্জন শুরু হয় অভিনেত্রী পূজা চেরি ও শাকিব খানের বিয়ে-স’ন্তান বি’ষয়েও। আর এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান নারী অ্যানি সাবমেরিনের সঙ্গে শাকিবের সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে আনা হলো।

ফেসবুকে দেওয়া লেখক মিলি সুলতানার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো- “অথর্ব খানের “সুপারহিরো” সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। নায়িকা ছিলেন বুবলী। প্রযোজকের কাছে খান সাহেবের ফরমায়েশ ছিল, হোটেলে তার ঠিক পরের কামরা যেন বুবলীর জন্য দেয়া হয়। যাতে বুবলীর সাথে তিনার লারেলাপ্পা মার্কা রোমান্স নির্বিঘ্নে কন্টিনিউ করতে পারে। হলোও তাই- সিনেমার শ্যুটিংয়ের সাথে ধুমায়ে চলতে লাগলো তাদের হোটেল রোমান্স। ২০১৮ সালে তার জন্য বি’পদ হয়ে এলো এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রেলিয়ান নারী।

জানা গেছে শাকিবের একটি ছবির সহপ্রযোজক ছিলো সেই নারী। তার নাম অ্যানি সাবমেরিন। সেই রমণীকে দেখে মজে যান ঢালিউডের প্রেমকুমার। ভাবলেন, ফ্রি’তে হাড়িপ্পা হাড়িপ্পা খেললে মন্দ কি? অ্যানি সাবমেরিন বিবাহিতা। তার স্বামী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। অ্যানিকে আমাদের দেশের মোশাররফ করিম তাহসান কনারা ভালো করে চেনেন হয়তোবা। তার সাথে মোশাররফ করিমের ভাব ধরা ভ্যারাইটিজ সেলফি দেখে সেটাই মনে হল।

২০১৮ সালে অ্যানি মা’রাত্মক ক্ষে’পণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলেন স্বঘোষিত কিং খানের উদ্দেশ্যে–তিনি কিং খানের অ’শ্লীল যৌ’নতার শি’কার হয়েছেন। যার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিলো। ডাক্তারের কাগজপত্রেও সেই উল্লেখ ছিল। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে খান সাহেবের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ দা’য়ের করে অ্যানি সাবমেরিন। পুলিশ নায়ককে আ’টক করতে যাওয়ার আগে খবর পৌঁছে যায় তার কানে। ফোন করেন জনৈক প্রভাবশালী ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারকে। সেই প্রভাবশালী ল’ইয়ার খান সাহেবের দোসর বনে যান, পুলিশের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। পুলিশের গ্রে’ফতার থেকে বেঁচে যান কিং খান।

অ্যানি সাবমেরিন যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো সেই হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ছিলেন তার স্বামী। স্ত্রীর চারিত্রিক স্খলন দেখে ডি’ভোর্স দেন। কিং খানের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি গো’পনে প্লেনের টিকিট কে’টে তাকে প্লেনে বসিয়ে দেন। এভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে চম্পট দেন কিং খান।

আর রেপের বি’ষয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেছেন, “আমি কেন তাকে (অ্যানি) রেপ করতে যাবো? বরং সে-ই আমাকে ড্রিংক করিয়ে বেসামাল করে দেয়। তারপর যা হয়েছে তা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। অ্যানি আমাকে প্রলুব্ধ করেছে। এমন অবস্থায় আমি কি তসবি পড়বো…………?” মজার বি’ষয় বুবলীও তখন অস্ট্রেলিয়া ছিলেন। কিন্তু বুবলী ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার পিঠপিছে অ্যানি সাবমেরিনের সাথে লীলাখেলায় মেতেছিলেন তার প্রেমকুমার। হায়রে এভাবেও কেউ ঠক খায়??”