শয়তান যেভাবে মানুষের ৫ টি আমল নষ্ট করে

| আপডেট :  ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:২৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:২৪ অপরাহ্ণ

মহান আল্লাহ তা’আলা শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আর শয়তানের সর্বদাই প্রচেষ্টা থাকে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করা। এমনকি অনেক সময় শয়তান মানুষের নেক আমলকেও নষ্ট করে দেয়। হাদিসে আছে মানুষের ৫টি সর্বোত্তম কাজ শয়তান নিমিষেই ৩টি কাজের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়। মুমিনের সর্বোত্তম আমল ও শয়তানের ধোঁকা দেয়া এই তিনটি কাজ নিয়েই আজকের আলোচনা:

আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘দুনিয়া হলো একটি বাগান। এতে রয়েছে ইলম: ইসলামি জ্ঞান যা পথহারা মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। ইবাদত-বন্দেগি : এমন ইবাদাত-বন্দেগি যা মানুষকে আল্লাহর ভয় ও মহব্বত তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে।

দ্বীনি নসিহত: উত্তম গুণের অধিকারী ব্যক্তিদের নসিহত বা উপদেশ। যা ইলম বা জ্ঞানবঞ্চিত মানুষকে আল্লাহর দিকে নিয়ে আসে। সুবিচার: দায়িত্বশীল ইমাম বা নেতার সুবিচার। যার মাধ্যমে মানুষ সঠিক বিচার বা সমাধান পায়। আমানত: হালাল ও হারাম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা একজন ব্যবসায়ীর জন্য অনেক বড় আমানত।

শয়তানের ৩ ধোঁকা শয়তান নিমিষেই ৩টি ধ্বংসাত্মক প্ররোচনার মাধ্যমে মানুষের উল্লেখিত পাঁচটি কাজকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। আর এ ক্ষতি করার জন্য শয়তান মানুষের সামনে যে ৩ পরিকল্পনা বা ধোঁকা তুলে ধরে তাহলো-

লোকদের মাঝে অংহকারে উদ্বুদ্ধ করে: শয়তান মানুষের মাঝে অহংকার তৈরি করে ইলম, সুবিচার এবং ইবাদত এ ৩টি আমল ধ্বংস করে দেয়।

আমসনতের খেয়ানত করা: সৎ ব্যবসা বা ব্যবসায়ী আমানতদারিতা নষ্ট করার জন্য শয়তান খেয়ানতকে ধোঁকা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। আর খেয়ানতের মাধ্যমে মানুষ শয়তানের ধোঁকায় নিজের বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতা ধ্বংস করে দেয়।

ইলমে দ্বীনের নসিহত বা সুন্দর উপদেশগুলোকে নষ্ট করা: শয়তান কলংক নামক ধোঁকার মাধ্যমে সুন্দর উপদেশগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। ইসলামের দিকে নসিহতকারী ব্যক্তিকে এমন কলংকজনক কাজে জড়িয়ে ফেলে যে, ওই ব্যক্তি কোনো মানুষকে ইসলামের উপদেশ বা দাওয়াত দেয়ার অবস্থায় থাকে না। এটি শয়তানের মারাত্মক ষড়যন্ত্র মূলক কাজ।