সিনেমা ও ওটিটি কনটেন্টে ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ চেয়েও বেশি গালি আছে

| আপডেট :  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১৯ অপরাহ্ণ

কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো নাটকটি। বর্তমানে এর চতুর্থ সিজন চলছে। তবে সম্প্রতি প্রচারিত নাটকের একটি পর্বে অভিনেতা মারজুক রাসেলের মুখে ‘যৌন কর্মীর ছেলে’ সংলাপটি তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই সংলাপের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন দর্শকরা।

এছাড়াও নাটকে ব্যবহৃত গালিগালাজ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন সবাই৷ ইতোমধ্যে নাটকটির চারটি পর্ব ইউটিউব থেকে সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। এদিকে পরিচালক কাজল আরেফিন অমি বলছেন, দর্শকদের কথা বিবেচনা করে ওই পর্বগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক কন্টেন্টে ব্যাচেলর পয়েন্টের চেয়েও বেশি গালি ব্যবহার করতে দেখা যায়, সেগুলো সম্পর্কে কেউ কথা বলে না বলে জানিয়েছেন অমি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাচেলর পয়েন্টেই কি প্রথম গালি ব্যবহার করে হয়েছে? সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সিনেমাতেও গালি এর চেয়ে বেশি। ওটিটির কনটেন্টে আরও সিরিয়াস গালি ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের ওটিটি কনটেন্টেও নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। ওগুলো নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। শুধু ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়েই সবাই কথা বলছে কেন!

এই নির্মাতা বলেন, ‘দেশের বড় বড় সম্মানিত পেশার অনেকে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যাচেলর পয়েন্টের পর্বগুলো দেখে উপভোগ করেন। এসব মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত। কেউ যদি মনে করেন ব্যাচেলর পয়েন্ট তার সঙ্গে যায় না, তিনি দেখবেন না- সিম্পলি এটাই বলতে চাই।’

অমি জানান, ব্যাচেলর পয়েন্ট যখন থেকে জনপ্রিয় হয়েছে তখন থেকেই গুটিকতক মানুষ এর পেছনে লেগেছে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার জন্য নয়, বিনোদন দিতে কাজ করি। নির্মাতা হিসেবে আমার দায়বদ্ধতা আছে। ব্যাচেলর পয়েন্টে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শক্তিশালী বন্ধুত্ব, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার দায়িত্ববোধ, ভাইয়ের প্রতি আদর-শাসন দেখাচ্ছি। এসব তো সামাজিক দায়বদ্ধতাও শেখায়, এসব নিয়ে তো কেউ কথা বলে না।’

সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। নাটকটির জনপ্রিয়তা এতটাই ছাড়িয়ে যায় যে দর্শকের আগ্রহের কারণে বর্তমানে এর চতুর্থ সিজন চলছে। কিন্তু সম্প্রতি প্রচারিত এ নাটকের কয়েকটি পর্বের সংলাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আপত্তির মুখে সেই ‘বিতর্কিত’ পর্বগুলো ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিও দিয়েছে।