সব
কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অর্জন বরাবরই চোখে পড়ার মতো। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। সেইসঙ্গে বিশ্ব দরবারে উঁচু করেছেন লাল সবুজের পতাকা। দেশের এমনই এক কিশোরের নাম সালেহ আহমদ তাকরীম। একের পর এক কুরআন প্রতিযোগিতায় জিতে দেশের জন্য যিনি বয়ে এনেছেন গৌরব।
এবার আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন তিনি। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় আয়োজিত ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাকরীম এ বিজয় অর্জন করেন।
বুধবার রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশি এই ক্ষুদে হাফেজ। এসময় তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তার উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী, ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। এর আগেও তাকরীম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনেন।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন সালেহ আহমাদ তাকরীম (১৫ পারা খ-গ্রুপ) ও মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ কারি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জন করেন। এ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ৭ম স্থান অর্জন করার পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন তাকরীম।