যারা একসময় বাজে কথা বলত, তারাই এখন অভিনন্দন জানাতে আসছে: কৃষ্ণার মা

| আপডেট :  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৫ অপরাহ্ণ

সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতে বাংলাদেশের মানুষ এখন আনন্দে ভাসছে। ফাইনালে নেপালের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের এ সাফল্য খুলে দিয়েছে ফুটবলের নতুন দুয়ার। তিন গোলের মধ্যে দুটি গোলই করেছেন কৃষ্ণা রানী সরকার। সেই আনন্দ ছুঁয়ে গেছে কৃষ্ণার বাড়িতে, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের উত্তর পাথালিয়ার গ্রামের মানুষের মাঝে।

তবে বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁর মা নমিতা রানী সরকার মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি। বাবা খেলা দেখেছেন অন্য গ্রামে গিয়ে। আর ভাই পলাশ জানান সারা দিন উপবাস করেছিলেন বোনের ভালো খেলার জন্য।

কৃষ্ণার মা নমিতা রানী সরকার আফসোস করেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারিনি। খেলা শেষ হওয়ার পর তার ছেলে পলাশের কাছে মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জানতে পারি। আমি কৃষ্ণাসহ ওদের দলের সবার জন্য দেশবাসীর কাছে আশীর্বাদ চাই।’

পেছনের ইতিহাস বলেন: এ পর্যায়ে আসতে আমার মেয়েকে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছিল, এখন সবাই গর্ব করছে কৃষ্ণাকে নিয়ে। যারা একসময় বাজে কথা বলত, তারাই এখন অভিনন্দন জানাতে আসছে। কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় আমি পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখে দারুণ খুশি। মেয়ের খেলায় খুব খুশি। এলাকার মানুষও খুব উপভোগ করেছে। অনেকেই আনন্দে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে। কৃষ্ণার জন্য আশীর্বাদ চাই।’

কৃষ্ণার সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশারফ হোসেন।

গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক কৃষ্ণাকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘কৃষ্ণা শুধু গোপালপুর কিংবা টাঙ্গাইল জেলার নয়, সারা দেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তার উত্থান শুরু। দেশে ফেরার পর আমরা ওকে বড় করে একটি সংবর্ধনা দেব। কৃষ্ণার মাকে কিছুদিন আগে রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।’