৫০০ টাকা চুরি করে ভাইরাল সিদ্দিক, হয়নি অবস্থার উন্নতি

| আপডেট :  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ

‘আমার ভুল হয়েছে। ক্ষমা করে দ্যান’ ডায়লগটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলো সারাদেশে। ৫০০ টাকা চুরি করে ধরা পড়েছিলেন সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তি। জনতা ধরে গণধোলাই দেওয়ার সময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে এই কথাগুলো বলেছিলেন। এই ডায়লগের জন্য সিদ্দিককে নিয়ে এখন পর্যন্ত বানানো হয়েছে হাজার হাজার ভিডিও। ইউটিউব বা ফেইসবুকে ঢুকলেই তার নানা ভিডিও সামনে চলে আসছে। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক রকম মিম।

এই ভাইরাল অবস্থার কারণে তার কোনো উন্নতি কিন্তু হয়নি। তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা রয়ে গেছে ঠিক পূর্বের মতোউ। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের সিদ্দিক এখন ইউটিউবারদের কল্যাণে গোটা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত। জানা গেছে প্রতিদিন একাধিক ইউটিউবার সিদ্দিকের বাড়িতে যান। তাঁকে নিয়ে বানানো হয় ভিডিও।

দর্শকদের ভাষ্যমতে, সিদ্দিকের সহজ স্বীকারোক্তিতে এমন কছু ছিল যা তাকে সংঘবদ্ধ মারধর থেকে বাঁচিয়েছে। চুরি করলে সাধারণত চোরদের যে যেভাবে পারে হাতের খায়েশ মিটিয়ে নেন। সিদ্দিকের ক্ষেত্রে তা কিন্তু ঘটেনি। বরং তার সংলাপ নিয়ে প্রতিনিয়তই ছোট ছোট নাটক, শর্ট ফিলম, টিকটক ভিডিও, রিল ভিডিও বানানো হচ্ছে।

সিদ্দিককে নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাইরাল যে ভিডিও সেটি দেখা হয়েছে ৩৩ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৩০ লাখ বার। এই ভিডিওতে সিদ্দিক বলছেন, ‘আমি চুরি করি নাই, আমি গিয়ে বলছি আপা আপনার মামা ৫০০ টাকা চাওছে, দেন। উনি সাথে সাথে দিয়া দিছেন। ’

টাকা নিয়ে কেন দৌঁড় মেরেছিলেন? এর জবাবে সিদ্দিক বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দ্যান।’ তাঁর এই সংলাপ দেওয়ার সময় চোখেমুখে এমন অভিব্যক্তি ছিল, যা নেটিজেনদের সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলে। যার ফলে এ ভিডিও কোটি কোটি মানুষ দেখেছে আর তাঁকে নিয়ে তৈরি নিয়ে তৈরি হয়েছে অজস্র ভিডিও। এমনটাই অভিমত নেটিজেনদের।

ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম এর সাইটগুলোতে ঢুকলেই সিদ্দিকের হাজার হাজার ভিডিও মুহূর্তে সামনে চলে আসছে। প্রতিদিন সিদ্দিককে নিয়ে ভিডিও বানানো হচ্ছে, এতে কি তাঁর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে?

সিদ্দিকের বাড়িতে স্ত্রী ও মা রয়েছে। কোনো সন্তান নেই। সে অর্থে সিদ্দিকের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। সিদ্দিক বলছেন তাঁকে কেউ তেমন অর্থ দেননা। কেউ কেউ হয়তো কয়েক ঘণ্টা শুটিং করে হাতে ৫০০ বা এক হাজার টাকা দেন। কিছুদিন আগেও সিদ্দিক ঘুরে বেড়াতেন ও একতা চায়ের দোকানে কাজ করতেন।

জানা গেছে, এখন সিদ্দিকের সময় কাটছে ক্যামেরার সামনে কিন্তু তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এমনকী একটা মোবাইল ফোন পর্যন্ত সিদ্দিকের নেই। অবশ্য জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এ কারণে নাকি মোবাইল কিনতে পারছেন না সিদ্দিক। তাছাড়াও বিভিন্ন ভিডিওতে নানা রকম ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সিদ্দিক। মিডিয়াতে অভিনয় করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।