সব
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ চলছে। হঠাৎ ক্যামেরা চলে যায় এক তরুণীর দিকে। আফগানিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তিনি। গলা ফাটানো চিৎকার করছেন সেই তরুণী। মুহুর্তের মধ্যেই শোরগোল পড়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্যামেরায় দেখানো তার সেই ছবি ভাইরাল হতে শুরু করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড় হয়ে যায় এই রহস্যময়ীর পরিচয় জানতে। রহস্যময়ী ওই যুবতীর নাম ওয়াজমা আইয়ুবি। এশিয়া কাপ চলাকালীন রাতারাতি প্রচারের আলোয় আসেন ওয়াজমা। তাঁর ছবিগুলিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করে। এরপর আফগানিস্তানের সবগুলো ম্যাচেই তাকে দেখা যায় স্টেডিয়ামে।
ওয়াজমার বয়স ২৮ বছর। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন আফগানিস্তানের এই মেয়ে। চাকরি করতে দুবাই গিয়েছিলেন ওয়াজমা। কিন্তু ঠিক করেন কারও অধীনে নয়, কাজ করবেন স্বাধীন ভাবে। আর এই ভাবনা থেকেই নিজস্ব প্রসাধনী সংস্থা খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রসাধনী সংস্থার মালিক হওয়ার পাশাপাশি ওয়াজমা দুবাইয়ে পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
খেলার প্রতি ভালোবাসা ছাড়া হিন্দি সিনেমার প্রতিও গভীর প্রীতি রয়েছে ওয়াজমার। আফগান-সুন্দরীর ইচ্ছা বলিউডে অভিনয় করার। এ ছাড়াও ওয়াজমা পছন্দ করেন ঘুরে বেড়াতে। মোটরবাইকে চেপে এ দিক-ও দিক ঘুরে বেরানোর শখ তাঁর। পছন্দ করেন বিভিন্ন ধরনের বাইক চালাতেও।
এশিয়া কাপে সুপার ৪ ম্যাচের তিনটিতে হেরে বিদায় নেয় আফগানিস্তান। গত বৃহস্পতিবার ভারতের কাছে ১০১ রানে হেরে যায় মোহম্মদ নবীদের দল। তবে তার পরও আফগানিস্তানের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল ওয়াজমাকে।
টুইটারে শেয়ার করা এই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘এশিয়া কাপে দেশের নীল বাঘেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি দেশের পতাকা হাতে হাজির হয়েছিলাম। আমার শরীর ভাল না থাকা সত্ত্বেও আমি খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ আফগানিস্তান এবং ভারত, আমার প্রিয় দু’টি দল। এদের ম্যাচ দেখা থেকে আমি নিজেকে আটকাতে পারিনি।’
ওয়াজমাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয় আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের ম্যাচের পর থেকে। এই ম্যাচ চলাকালীনই দলের সমর্থনে লাফালাফি করার সময় একাধিক ক্যামেরাম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওয়াজমা। এশিয়া কাপ চলাকালীনই ‘মিস্ট্রি গার্ল’ হয়ে ওঠেন ওয়াজমা।
টুইটারে শেয়ার করা তাঁর ছবি ব্যাপকভাবে রিটুইট হতে থাকে। এক ভারতীয় সমর্থক এই সুন্দরীর রূপে এতটাই মোহিত যে তিনি জানিয়েছেন বিসিসিআই-এর উচিৎ এখন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটা সিরিজ আয়োজন করা। আরেক জন কয়েক কদম এগিয়ে মস্করা করে লিখেছেন, ‘এর জন্যই পন্থ ঊর্বশীকে বোন বলে ডেকেছে।’
