জন্মদিনে না পাওয়ার বেদনা প্রকাশ করলেন অমিত হাসান

| আপডেট :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৫ অপরাহ্ণ

১৯৬৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান। নায়ক হিসেবে অভিনয় করে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে খলনায়ক হিসেবেও অভিনয় করে সাড়া ফেলেছেন তিনি।

অভিনয়ে সর্বোচ্চটা দিয়ে জয় করেছেন ভক্তদের মন। চলচিত্র শিল্পী সমতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন। বাংলা একাত্তর পরিবার (পাঠকদের) পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছে।

একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের অপ্রাপ্তি নিয়ে নায়ক অমিত হাসান বলেন, অনেক দর্শকপ্রিয় ছবি রয়েছে। সেই সিনেমাগুলো আমি নিজের মতো করে, জীবনের সেরাটা দিয়ে অভিনয় করেছি। কিন্তু অপ্রাপ্তি হচ্ছে প্রায় তিন, চার শ ছবি করে একটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পাইনি। এত বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছি, কিন্তু জাতীয় স্বীকৃতি মেলেনি, এই না পাওয়াটা সত্যই অনেক কষ্টের, বেদনার।

দর্শকের ভালোবাসার মাঝে যে সুখ আছে সেই সুখের মাঝেও প্রায়ই দুঃখ নড়েচড়ে ওঠে। এখনো অভিনয় করে যাচ্ছি যদি ভাগ্যে থাকে ভালো কাজ করি আশা রাখি সামনে জাতীয় পুরস্কার পাব।

১৯৮৬ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চেতনা’। সিনেমাটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ চলচ্চিত্রে।

এরপর তিনি উপহার দিয়েছেন ‘প্রেমের সমাধি’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘জিদ্দী’, ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘রঙিন উজান ভাটি’, ‘ভালবাসার ঘর’র মতো জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র। একটা সময় এসে তিনি খল-অভিনেতা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। খল-অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। প্রযোজক হিসেবেও সফল হয়েছেন।