নায়িকার পায়ের রগ সেলাই না করে গিঁট দিলেন ডাক্তার! (ভিডিও)

| আপডেট :  ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৬ অপরাহ্ণ

ডাক্তারের ভু’ল চিকিৎসার কারণে মৃ’ত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন প্রযোজক ও অভিনেত্রী সিমি ইসলাম কলি। তার পায়ের কা’টা রগ সেলাই না করে বরং গিঁট দিয়েছে চিকিৎসক। গত ২৯ জুলাই (সোমবার) রাতে নরসিংদীর শিবপুর ও রায়পুরা থানার সংযোগস্থল খইনপুর কুটিরবাজার ব্রিজের কাছে কলিকে হ’’ত্যার জন্য পায়ের রগ কে’টে দেয় স’ন্ত্রাসীরা। সাথে তার চোখ উপড়ে ও শ্বা’সরো’ধ করে হ’’ত্যাচেষ্টাও করে।

নায়িকা সিমি ইসলাম কলির বলেন, ‘২৯ জুলাই আমাকে হ’’ত্যার করার উদ্দেশ্যে হা’মলার পর আমি অনেকক্ষণ পড়ে ছিলাম রগ কা’টা অবস্থায়। এরপর সেখান থেকে নরসিংদীর সদর হাসপালে যাই। সেখানে ডাক্তার আমাকে অনেকক্ষণ পরে দেখতে আসে। আমার অবস্থা খা’রাপ দেখে তারা দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আর তখন তারা র’ক্ত বন্ধ করার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স করে আমি ঢাকায় চলে আসি। এসেই মগবাজার ইনসাফ বারাকাহ (ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতাল) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হই।”

তিনি আরও বলেন, “সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার দেখে আমাকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) যাই। সেখান থেকে আমাকে পাঠানো হয় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে (আমি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল)। তারা আমাকে সারাদিন ফে’লে রেখে রাতে অপারেশন করে। তারপর তারা আমাকে প’ঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আমি কিছুদিন ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছি।”

নায়িকা সিমি ইসলাম কলি এখন মৃ’ত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।পা তুলে দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। এছাড়া পায়ের ব্য’থার কারণে সারারাত ঘুমাতেও পারছেন না তিনি।

পুলিশের কাছে সিমি অ’পহরণকারী ও বিশিষ্ট ব্যাংকারের বি’রুদ্ধে মা’মলা করতে আ’হত শরীর নিয়ে নরসিংদীর রায়পুরা থানা ও শিবপুর মডেল থানায় গেলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার অ’ভিযোগ নেয়নি। পরবর্তীতে মা’মলা নেয় পুলিশ। তবে পুলিশ নিজের মতো করে আ’সামি সাজিয়ে মা’মলাটি নিয়েছে বলে জানান তিনি। যেখানে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামীকে আ’সামি বানিয়েছে বলে জানান তিনি।

কা’ন্নাকণ্ঠে কলি বলেন, “আমি জানি না কোন হাসপাতালে আমার ভু’ল চিকিৎসা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না, আবার সঠিক সেবাও পেলাম না। এখন ভু’ল চিকিৎকার কারণে আমার জীবন যেতে বসেছে। সবশেষ ডাক্তারের কথা শুনে আমি মা’নসিকভাবেও ভে’ঙে পড়েছি। আল্লাহ ছাড়া এখন আর আমার কেউ নেই।”

বি’ষয়টি নিয়ে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ডা. সিরাজ বলেন, “উনি ৩০ তারিখ সকালে আমাদের কাছে এসেছিল। কিন্তু উনার পায়ের অবস্থা ভালো ছিল না। এটা দেখে আমি উনাকে বলি এর জন্য প্লাস্টিক সার্জন লাগবে। আর আমি শুধু ড্রেসিং করে উনাকে সঙ্গে সঙ্গে অন্য হাসপাতালে রেফার করি। এখানে কোনো সেলাই করা হয়নি। উনাকে বলা হয়েছে, দ্রুত ঢাকা মেডিকেল বা প’ঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। এরপর উনি কি করেছে তা আমাদের জানা নেই।”

বি’ষয়টি নিয়ে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসক মো. জিয়া উদ্দিন (এমবিবিএস, ডি-অর্থো, এমএস অর্থো সার্জারি) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তার সহকারী নাঈম জানান, ডাক্তার জরুরি মিটিংয়ে আছেন। তাকে বি’ষয়টি জানানো হবে।