সব
রাজধানীর গ্রীনরোডে নিজের বাসায় স্বামী ও তার বন্ধুর হাতে নি’র্মমভাবে খু’ন হয়েছেন চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু। তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বি’রুদ্ধে আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। নোবেলের নির্দেশে ফরহাদ তাকে হ’’ত্যায় সহযোগিতা করেন। সেখানে উঠে এসেছে ভয়ানক তথ্য।
অ’ভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ‘শিমুকে ধর, ওকে আজ মে’রেই ফেলব’- বন্ধু ফরহাদকে এই নির্দেশ দেন নোবেল। তার কথামতো শিমুকে ধরতে গেলে ফরহাদকে ধাক্কা দিয়ে ফে’লে দেন শিমু। এরপর শিমুর গ’লা ধরতে যান নোবেল। শিমু তাকেও ধাক্কা মে’রে ফে’লে দেন।
পরবর্তীতে তারা দুজন (নোবেল, ফরহাদ) একসাথে শিমুর ও’পর চড়াও হন। ফরহাদ শিমুর গ’লা চে’পে ধরেন আর নোবেল ধরেন দুই হাত। ফ্লোরে পরে যান শিমু। স্ত্রীর (শিমু) গ’লায় পা দিয়ে দাঁড়ান নোবেল। একপর্যায়ে প্রস্রাব হয়ে যায় শিমুর এবং ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে নায়িকা শিমু হ’’ত্যার ঘটনায় স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। সেই অ’ভিযোগপত্রে ওঠে এসেছে এসব ভ’য়ানক তথ্য। শিমু হ’’ত্যা মা’মলাটি ত’দন্ত করছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। অ’ভিযোগপত্রের বি’ষয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে আ’দালতে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাব’ন্দি লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। পরে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) তার লা’শ নেয়া হয়। সেখানেই শিমুর স্বামী ও ফরহাদ গেলে তাদের আ’টক করে র্যা’ব।
স্বামী ও দুই স’ন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জি’ডি) করা হয়। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনায় করেছেন শিমু। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন।