পরকালে মানুষ নিজেদের বিষয়ে যে আক্ষেপ করবে

| আপডেট :  ১২ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২৬ অপরাহ্ণ

ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে মৃ’ত্যুর পরে মানুষকে পুনরত্থিত করা হবে এবং মানুষ ও জীনের সকল কাজের হিসেব করা হবে। আর সেই হিসেব অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে জান্নাত ও জাহান্নাম। কোরআন এবং হাদীসে বারবার এই বিচার দিন তথা আখিরাতের দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী এইদিনে মানুষ নিজেদের বেশকিছু বি’ষয় নিয়ে আক্ষেপ করবে কিন্তু সেদিন তা কোনো কাজে আসবে না। কারণ মৃ’ত্যুর পর মানুষ আর দুনিয়ায় আসতে পারবে না। আজকের আয়োজনে কুরআনে বর্ণিত মানুষের মৃ’ত্যু পরবর্তী কিছু আক্ষেপ তুলে ধরা হলো

নেক কাজ করার আক্ষেপ: সুরা ফাজরের ২১-২৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে আখেরাতের দিন সে (আক্ষেপ করে) বলবে- ‘হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু আগে পাঠাতাম!’ সেদিন তার শা’স্তির মত শা’স্তি কেউ দেবে না। আর তার বন্ধনের মত বন্ধনও কেউ দেবে না।’

রাসুলের পরিবর্তে অন্যদের বন্ধু করার আফসোস: যারা দুনিয়াতে নবুয়তের স্বীকৃতি দেইনি তারা আফসোস করে বলবে, আমরা যদি অন্যকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম তবে আমাদের এ করুণ পরিণতি হতো না। সুরা ফুরকানের ২৭-২৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে হায়, আমার দূর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’

মাটি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা: সুরা নাবার ৩৯-৪০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘এই দিবস (পরকাল) সত্য। অতপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরি করুক। আমি তোমাদেরকে আসন্ন শা’স্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে (মৃ’ত্যুর আগে) পাঠিয়েছে। আর (সেদিন তা দেখে) কাফেররা বলবে- ‘হায়, আফসোস! আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।

আমল বা হিসাবের পরিবর্তে মৃ’ত থাকার আকাঙ্ক্ষা: আখেরাতের দিম অ’পরাধী ও অবিশ্বাসী লোকেরা বাম হাতে আমল নামা পেয়ে আকাঙ্ক্ষা করবে, আমলনামা না পাওয়ার, হিসাব না পাওয়ার এমনকি পরকালে যেন তারা মৃ’ত অবস্থায় থাকে। সুরা হাক্বকাহর ২৫-২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, হায় আমায় যদি আমার আমল নামা না দেয়া হতো। আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব! হায়, আমার মৃ’ত্যুই যদি শেষ হত।’

রাসুলের আনুগত্য করতে না পারার আফসোস: সুরা আহজাবের ৬৪-৬৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্যে জলন্ত অগুন (জাহান্নাম) প্রস্তুত রেখেছেন। তথায় তারা অনন্তকাল থাকবে এবং কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। যেদিন আ’গুনে তাদের মুখমণ্ডল ওলট-পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবে-হায়। আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম ও রসূলের আনুগত্য করতাম।