আল্লাহ যেন তার আত্মার শান্তি দেন, তাকে বেহেশত নসিব করেন: ববিতা

| আপডেট :  ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৪৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৪৭ অপরাহ্ণ

কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা আর সালমান একসঙ্গে বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’, শিবলী সাদিকের ‘মায়ের অধিকার’ ও জাকির হোসেন রাজুর ‘জীবন সংসার’ সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেন। সালমানের সঙ্গে যারা অভিনয় করেছেন তাদের সবার কাছেই প্রিয় ছিলেন এ নায়ক।

‘মহামিলন’ সিনেমার শুটিংয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ববিতা বলেন, ‘কক্সবাজারে এ সিনেমার শুটিং হয়েছিল। একটি দৃশ্য ধারণ করা হচ্ছিল পাহাড়ের উপর। আমার হাতে পিস্তল ছিল। দৃশ্যটিতে অংশ নিয়েছিলাম আমি, রাজীব ভাই, শারমিন, সালমান শাহ ও শাবনূর। সেই দৃশ্যটির ধারণের নানা সময়ে আমি শুটিংয়ে আনা অন্য একটি চেয়ারে বসি। কারণ হোটেল থেকে আমার চেয়ারটি নিতে মনে ছিল না। সালমান বিষয়টি খেয়াল করে এবং শুটিংয়ে তার নেওয়া চেয়ারটি আমাকে গিফট করে। আমি না করার পরও সালমান তার নিজের ব্যবহৃত চেয়ারটি তখনই আমাকে দিয়ে দেয়।

সেই চেয়ারটি দীর্ঘদিন আমার কাছে সংরক্ষিত ছিল। তারপর আবার যখন মোবাইল ফোন প্রথম এলো, আমি মোবাইল ব্যবহার করতে পারতাম না। সালমানই আমাকে একটি চিরকুটে মোবাইল ব্যবহার করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছিল। সালমানের নিজের হাতের লেখা সেই চিরকুটটি এখনো আমার কাছে বেশ যত্নে রাখা আছে। সেই চিরকুটের মাঝেই মাঝে মধ্যে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সালমানকে খুঁজে বেড়াই।’

অভিনেতা হিসাবে আপনি সালমানকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? জবাবে ববিতা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী সালমান শাহ অনেক বেশি ভালো অভিনেতা ছিল। পোশাকে ফ্যাশনে নতুনত্ব তো সৃষ্টি করেছিলই, সেটা সবাই দেখেছেন এবং তার ফ্যাশন এখনো অনেকেই ফলো করেন। এটা অনেক বড় বিষয়। আর অভিনেতা হিসাবে সালমান নিজেই ছিল অনন্য।

এমনভাবে সংলাপ বলত, এমনভাবে এক্সপ্রেশন দিত, এটা বুঝার উপায় থাকত না যে অভিনয় নাকি সত্যি। পরিচালকের কাছ থেকে দৃশ্য বুঝে নিয়ে এমনভাবে সংলাপ বলত যে, তার সহশিল্পীর জন্যই সেই অভিনয়ের কাউন্টার দেওয়া কঠিন হয়ে যেত। সালমান সত্যিই অনেক বড় মাপের অভিনেতা ছিল। তার মতো অভিনেতার অকাল প্রয়াণ সত্যিই আমাদের জন্য অনেক বেদনার, অনেক কষ্টের। এ কষ্টটা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে আরও দীর্ঘদিন। দোয়া করি আল্লাহ যেন তার আত্মার শান্তি দেন, তাকে বেহেশত নসিব করেন।’