রেস্টুরেন্টেের কেবিনে দুই নারীসহ জনতার হাতে ধরা ম্যানেজার

| আপডেট :  ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

মৌলভীবাজার জে’লার জুড়ীতে শাহিনা হোটেলে দুই নারীসহ তিন জনকে আ’টক করেছে জনতা। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে উপজে’লার চৌমুহনীর শাহিনা রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘটনার দিন শাহী রেস্টুরেন্টের মালিক আলকাছ মিয়ার ম্যানেজার শ্যামল চন্দ্র দাশ (২৮) তারই মালিকানাধীন শাহিনা রেস্টুরেন্টে ১৯ ও ২১ বছরের দুই যুবতীকে নিয়ে প্রবেশ করে। পরে তারা একটি কেবিনে অনেকক্ষণ সময় কা’টান।

এক পর্যায়ে শ্যামল চন্দ্র দাস ২১ বছরের এক যুবতী কে নিয়ে রেস্টুরেন্টের পিছনের স্টাফদের থাকার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘ সময় একান্তে তারা সময় কা’টান। বি’ষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আ’পত্তিকর অবস্থায় আ’টক করে। পরে তাদেরকে জনতা জুড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। সন্ধ্যার পর অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাদের হস্তান্তর করে।

এ বি’ষয়ে শাহী রেস্টুরেন্টের ভবনের মালিক বাবুল মিয়া জানান, শাহী ও শাহিনা রেস্টুরেন্টের মালিক আলকাছ মিয়া রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে প্রায় সময় নারী নিয়ে অসামাজিক কাজ করে। আমি তাকে একবার মহিলা সহ ধরি। পরে সে আমার হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়।

এ বি’ষয়ে শাহিনা রেস্টুরেন্টের ভবনের মালিক মো: বশির মিয়া বলেন, আমি প্রায় সময় শুনি শাহিনা রেস্টুরেন্টের পিছনের স্টাফ রুমে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। আমি তখন বিশ্বাস করিনি। আজ খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে নারীসহ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার শ্যামল চন্দ্র দাস কে আ’টক করে পুলিশের সোপর্দ করি।

অ’ভিযোগের বি’ষয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক আলকাছ মিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘুমে ছিলাম। লোকজনের হাল্লা চি’ৎকারে রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে ঘটনা জানি। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেই। এ ঘটনার সাথে অ’ভিযুক্ত আমার হোটেল ম্যানেজার শ্যামল চন্দ্র দাসকে চাকরি থেকে অব্যাহত দিয়েছি। আমার বি’ষয়ে অ’ভিযোগটি সঠিক নয়। এ বি’ষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ই’নচার্জ সঞ্জয় চ’ক্রবর্তী বলেন, রেস্টুরেন্টের ঘটনাটি শুনেছি। এ বি’ষয়ে ত’দন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।