‘আম্মু আমাকে সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছিল’: ইয়াশা

| আপডেট :  ২৩ আগস্ট ২০২২, ১২:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ আগস্ট ২০২২, ১২:২৭ অপরাহ্ণ

প্রায় দুই মাসের বেশি নিখোঁজের পর সন্ধান মিলেছে কলেজছাত্রী ইয়াশা মৃধা সুকন্যার। সন্ধান পাওয়ার পর গণমাধ্যমে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন ইয়াশা। তিনি জানান, আমি রাতে ঘুমাতেও পারতাম না। সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আম্মু আমাকে বিক্রি করে দিচ্ছিল। আমি বাসায় ফিরে যেতে চাই না, কারণ আমি সেখানে নি-রা-প-ত্তা-হী-ন-তায় ভুগি। কোনসময় আমাকে মেরে ফেলবে আমি জানি না।

নিখোঁজের বিষয়ে ইয়াশার পরিবার গণমাধ্যমে জানান, সিদ্ধেশ্বরী কলেজে পরীক্ষা দিতে যান সুকন্যা। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে কলেজের অভিভাবকদের বসার রুমে অপেক্ষা করতে থাকেন তার মা। পরীক্ষা শেষ হয় ৩টায় সব পরীক্ষার্থী বের হলেও হুদিশ মেলেনি সেদিন ইয়াশার। তার মা কলেজের শিক্ষকদের জানান। এরপর সেদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে রমনা থানায় জিডি করেন। পরে এটি মা-ম-লা-য় রুপান্তরিত হয়। সেই মা-ম-লায় ইয়াশার বন্ধু ইশতিয়াককে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

ইয়াশা নিখোঁজ, আত্মগোপন নাকি নিরুদ্দেশ ছিলেন এতদিন? ইয়াশা গণমাধ্যমে বলেন, আমি আমার নানু বাসায় গেলে সেখানেও আমাকে মানসিক ভাবে অ-ত্যা-চা-র করা হত। নানু খালি বলত, বিয়েটা করে ফেল। সাড়ে তিনলাখ টাকা দিবে, এটা তো কম না। তুই চাইলে আরও দিবে। আমার আম্মু আমাকে সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছিল।

করুণ ভাবে ইয়াশা জানান, আমি ক্ষিদা সহ্য করতে পারতাম না। আম্মু সেটা জেনেও আমাকে দুইদিন ঘরে ব-ন্দী করে রেখেছিল। খাবারও দেয়নি। বাথরুমের পানি খেয়ে খেয়ে আমি নিজের জীবন বাঁচিয়েছি।

ইশতিয়াকের ব্যাপারে ইয়াশা জানান, সে আমার খুব ভালো বন্ধু, ওর কোন দোষ নেই। তবু তাকে কা-রা-গা-রে রাখা হয়েছে।