আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ডাহা মিথ্যা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| আপডেট :  ২২ আগস্ট ২০২২, ০২:৩৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ আগস্ট ২০২২, ০২:৩৪ অপরাহ্ণ

‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেওয়া এ বক্তব্য সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক মহলে দেখা দেয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। কিন্তু বরাবরের মতো মন্ত্রী তার এ বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে আসছেন। সবশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে একই কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে আমি তার ধারে কাছেও নেই। এটি ডাহা মিথ্যা।

এর আগে সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এসে উপস্থিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতবর্ষে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে।

এরপরই মন্ত্রীর এ বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিরোধীদলগুলো মন্ত্রীর এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে। বিএনপি তো লুফে নেয় এই বক্তব্য। তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে বাস্তব চিত্র বলে উল্লেখ করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে দেখা দেয় প্রতিক্রিয়া। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিমত হতে পারে। এটি আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও না। এই ধরনের অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।