সব
ক্যারিয়ারের ঝুলিতে ইউটিউবে ১১০ নাটকের অভিজ্ঞতা। ছোট ছোট নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ার জীবনে ছোট ছোট চরিত্রে গত ৩ বছরে তিনি এসব কাজ করে অনেক মানুষের কাছে পেয়েছেন পরিচিতি। ছোট পর্দা থেকে বেরিয়ে তিনি ক্যারিয়ে বড় পর্দায় পদার্পণ করতে সিনেমায় প্রথমবারের মত কাজ করছেন। এতক্ষণ যে কথাগুলো বলা হলো সেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বের নাম রাসেল মিয়া।
তার অভিনীত প্রথম সিনেমা হলো ‘ভাইয়ারে’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রকিবুল আলম রকিব। আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে । এই সিনেমাকে ঘিরে নায়ক নিজেই চালাচ্ছেন ভিন্ন প্রচারণা। সিনেমার পোস্টার ভ্যানে লাগিয়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন।এই ভিন্নধর্মী প্রচারণার তাকে দেখে সাধারণ মানুষরা আগ্রহ নিয়ে জড়ো হচ্ছে। সেই সময়ে রাসেল মিয়া তার ছবির খবর দিচ্ছেন।
জানা যায়, গত ৪ দিনে রাজধানীর মগবাজার, বাড্ডা, আফতাব নগর, যাত্রাবাড়ি, নাখালপাড়া এলাকায় ভ্যান চালক হয়ে পোস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাসেল। রাসেল মিয়া গুলিস্তান এলাকায় থাকা অবস্থায় গণমাধ্যম তার সাথে কথা বলে। তিনি বলেন, সিনেমা মুক্তির আগ পর্যন্ত এই প্রচারণা চালিয়ে যাব। শুধু ঢাকাতেই এভাবে প্রচারণা করবো। ঢাকার বাইরে গেলে সবকিছু ব্যালেন্স করতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যানচালক সেজে মানুষের কাছে গেলে তারা আমার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আমি নিজেও সবসময় খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। সিনেমা রিলিজ হবে বসে বসে ফেসবুকে প্রচার করবো সেটা আমি চাই না। আমি চাই, মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কাছে গিয়ে ছবির ব্যাপারে জানাতে। সেটাই করে যাচ্ছি। যেখানেই যাচ্ছি ক্রাউড সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, সহজে এর চেয়ে বড় প্রচারণা আর হতে পারে না।’
‘মানুষ খুব বেশি খুশি হচ্ছেন। মানুষের এই খুশি হওয়া এবং ছবি নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যাওয়াটা আমি উপভোগ করছি। আরও বলেন, ছবির প্রচারণায় ৫-১০ লাখ টাকা চলে যায়। কিন্তু ‘ভাইয়ারে’ ছবির প্রযোজক তার এতো সামর্থ্য নেই। তাই ভেবেছি, সপ্তাহ দুয়েক যদি নিজেই এভাবে শ্রম দেই তাহলে ভালো ফিডব্যাক পাব।’ এসব কথাও রাসেল মিয়ার।
তার অভিনীত প্রথম সিনেমা দর্শক সাড়া পেলে সামনে আরও সিনেমা নিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম সিনেমায় যদি দর্শক আমাকে পছন্দ করেন তারা চাইলে সামনে সিনেমা করবো। নইলে সেভাবে ইউটিউবে কাজ করছি সেভাবেই করবো। ইতোমধ্যে দুজন প্রযোজক আমাকে নিয়ে নতুন কাজ করতে চেয়েছেন, টাকাও দিতে চেয়েছেন।
