রাজ্জাকের মৃ’ত্যুতে অভিভাবক হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন শাকিব খান

| আপডেট :  ২১ আগস্ট ২০২২, ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ আগস্ট ২০২২, ০৪:০৩ অপরাহ্ণ

বাংলা সিনেমার সর্বকালের সেরা নায়ক রাজ্জাক। এজন্য তাকে বলা হয় নায়করাজ। দীর্ঘ পাঁচ দশক তিনি মিশে ছিলেন সিনেমার সঙ্গে। মাতিয়েছেন দর্শকদের, সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষার সিনেমাকে। কিংবদন্তি এই নায়ক ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন দর্শক থেকে শুরু করে সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা।

নায়করাজের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক ছিল সুপারস্টার শাকিব খানের। তার অভিভাবকের মতো ছিলেন রাজ্জাক। তাই নায়করাজের প্রয়াণে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন শাকিব। আজও প্রিয় অভিভাবকের শূন্যতা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।

রাজ্জাককে স্মরণ করে শাকিব খান বললেন, ‘চোখের সামনে না থাকলেও আপনার অদৃশ্য স্নেহ সবসময়ই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে! যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাদেশের সিনেমা থাকবে ততদিনই নায়করাজ রাজ্জাক আমাদের সকলের হৃদয়ে অহংকার হয়ে থাকবেন। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। শান্তিতে থাকুন আমাদের নায়করাজ।’

উল্লেখ্য, রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। তার আসল নাম আব্দুর রাজ্জাক। দেশ ভাগের সময় তিনি ঢাকায় চলে আসেন। অবশ্য কলকাতায় থাকতেই তিনি অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তার পথচলার সূচনা।

বাংলাদেশে আসার পর রাজ্জাকের সিনেমা জীবন শুরু হয় ১৯৬৬ সালে। সিনেমাটির নাম ছিল ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’। এখানে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন রাজ্জাক। এরপরের ইতিহাসটা কম-বেশি সবারই জানা।