১৫ দিনে ৫২০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে ডিম-মুরগি সিন্ডিকেট

| আপডেট :  ২০ আগস্ট ২০২২, ০৩:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ আগস্ট ২০২২, ০৩:১০ অপরাহ্ণ

সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে হুহু করে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম। এ সেক্টরে গত ১৫ দিনে দেশের ভোক্তা ও ক্ষুদ্র খামারিদের কাছ থেকে ৫২০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে পোল্ট্রি খাতের সিন্ডিকেট।

শনিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দেশের ক্ষুদ্র খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, কোম্পানিগুলো গত ১৫ দিনে ডিমের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করেছে ১১২ কোটি টাকা। পাশাপাশি বাচ্চার দাম বাড়িয়ে লুটে নিয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে লুটে নিয়েছে ১৭২ কোটি টাকা। এই সিন্ডিকেটে জড়িত রয়েছে পোল্ট্রি খাতের ১০-১২ টি দেশি-বিদেশি কোম্পানি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খন্দকার, সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে। সংগঠনের সভাপতি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এই ১০১২টি কোম্পানি দেশের পোল্ট্রি খাতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেটকারী প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্ম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো করা হয়, মুরগি ও ডিমের দাম আসলে আড়তে নির্ধারণ হয় না। সারাদেশে আড়ৎগুলোয় বড় কোম্পানির লোক থাকে। কোম্পানিরা যে দাম নির্ধারণ করতে বলে আড়তগুলোতে সেই দামই নির্ধারণ হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এক বস্তা ফিড প্রান্তিক খামারিকে কিনতে হলে লাগে ৩৩০০ টাকা, কিন্তু কোনো খামারি তাদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং করলে ওই বস্তা পাওয়া যায় ২৫০০ টাকায়। অর্থাৎ তারা বস্তা প্রতি ফিডে লাভ করছে ৮০০ টাকা। তারা প্রতিটি ডিমে লাভ করছে তিন টাকা এবং প্রতিটি ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি করে লাভ করছে ২০ থেকে ২২ টাকা।