মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা, মেয়ের মাথা কে’টে ড্রেনে ফে’লে দিল বাবা

| আপডেট :  ১৯ আগস্ট ২০২২, ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ আগস্ট ২০২২, ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ

অমতে প্রেম করায় নিজের মেয়েকে মাথা কে’টে হ’’ত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় অ’ভিযুক্ত বাবা শহিদ কুরেশিকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। মেয়ে ২৫ বছর বয়সী শাহিনা তার ‘অপছন্দের ছেলের’ সঙ্গে প্রেম করায় তাকে হ’’ত্যা করেন শহিদ। পরে শাহিনার কা’টা মাথা একটি ড্রেনে ফে’লে দেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মীরুটের লিসারি গেটের ড্রেন থেকে শাহিনার কা’টা মাথা উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শাহিনার বাবা শহিদকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। গত ১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় একটি কবরস্থানের বাইরে রাস্তায় চাদরে মোড়ানো অবস্থায় ওই নারীর মস্তকবিহীন লা’শ পাওয়া যায়।

এসপি সিটি বিনীত ভাটনাগর জানান, আর্থমুভার ব্যবহার করে রাতব্যাপী অ’ভিযানের পর, আমরা ড্রেন থেকে ওই নারীল কা’টা মাথা উ’দ্ধার করি। এটি একটি ওড়নায় মোড়ানো ছিল। হ’’ত্যার জন্য ব্যবহৃত ধা’রালো অ’স্ত্রটিও উ’দ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শাহিদ এবং তার স্ত্রী শেহনাজ উভয়ের বি’রুদ্ধেই আইপিসি ধারা ৩০২ (হ’’ত্যা), ২০১ (প্রমাণ লুকানো) এবং ১২০ বি (অ’পরাধী ষ’ড়যন্ত্র) এর অধীনে মা’মলা করা হয়েছে। এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শহিদ বলেছেন, আমার কোনো অনুশোচনা নেই। তারা শেখাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে আমার স্ত্রীকে ঘুমের ও’ষুধ দিত সে। আমার কাছে আর কোনো উপায় ছিল না। সে আমাদের অ’পমানিত করেছে। তাই তাকে শেষ করে দিয়েছি।

এদিকে শেহনাজ বলেছেন, আমি ওই হ’’ত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কিছু জানতাম না। হ’’ত্যার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। তখন আমার আরেক মেয়েকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

পুলিশ বলছে, ওয়াসিম নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল শাহিনার। কিন্তু এতে অমত ছিল শহিদের। দুই বছর ধরে তাদের প্রেম চললেও ছয় মাস আগেই পুরো বি’ষয় জানতে পারেন শহিদ। এরপর বাড়ি বদলে ফে’লেন তিনি। কিন্তু ওয়াসিমের সঙ্গে প্রেম চা’লিয়ে যান শাহিনা। একবার তার সঙ্গে পা’লিয়েও যায় সে। পরে আবার ফিরেও আসে। তবে এবার ওয়াসিমের সঙ্গে শাহিনাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন শহিদ।