আসলে উনি আমার বক্তব্যের পয়েন্টটাই ধরতে পারেনি: মিশা

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৭ অপরাহ্ণ

সিনেমাপাড়ার মানুষদের নিয়ে যেন আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। আজ এই তারকাশিল্পীকে নিয়ে, অন্যদিন আরেক তারকাকে নিয়ে তর্ক-বির্তক চলছেই। সম্প্রতি অনন্ত জলিলের ‘দিন : দ্য ডে’ সিনেমা প্রসঙ্গে কথা বলে বিতর্কের মুখে পড়েছেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।

এক সাক্ষাকারে মিশা বলেন, ‘১০০ কোটির বেশি বাজেটের এই সিনেমা “দিন : দ্য ডে” দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির বিন্দুমাত্র লাভ নেই। এত টাকার সিনেমা চলবে কোথায়, টাকাটা উঠবে কীভাবে? এই সিনেমায় প্রফেশনাল কোনো শিল্পী নেই। উনারা সাধারণত শৌখিন শিল্পী।’

জনপ্রিয় এই খল অভিনেতার এমন মন্তব্যে খেপেছেন অনন্ত জলিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে অনন্ত এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মিশা সওদাগর সাহেব একজন পুরোনো শিল্পী, তিনি যেটা ভেবেছেন সেটা বলেছেন। ইন্ডাস্ট্রির তো উনাকে দিয়ে কোনো উপকার হয়নি।’

সঙ্গে যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘মিশা সওদাগর যখন শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন তখন প্রায় দুই শতাধিক শিল্পীর ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছিল। অথচ নিউজে সব সময় জায়েদ খানের নামই আমরা দেখেছি। মিশার নাম কম এসেছে। কিন্তু শিল্পীদের বাদ দেওয়ার স্বাক্ষর তো তিনিই করেছেন। চলচ্চিত্রের যোদ্ধাদেরকে এফডিসি থেকে বের করে দেওয়া হলো- পরে ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই তাদের ফিরিয়ে আনলেন। তাহলে মিশার দিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন কীভাবে হলো?’

অনন্ত আরও জানান, সিনেমার যে ডিজিটালাইজড হয়েছে, এটা কার দ্বারা হয়েছে? অনন্ত জলিলের দ্বারা। মিশা সওদাগরের প্যানেল থেকে নির্বাচন করা এমন তিনজন শিল্পী অনন্তকে জানিয়েছেন, তাদেরকে মিশা বলেছেন, “অনন্ত ভাইয়ের বিরুদ্ধে আমার কথা বলার একমাত্র কারণ, উনি যাতে রাগ হয়ে শিল্পী সমিতিতে কোনো তহবিল না দেন।”

অনন্ত জলিলের এসব কথার উত্তর দিলেন মিশা। তার ভাষ্য, ‘আমি অনন্ত জলিল সাহেবের “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিতে কাজ করেছি। আর এই ছবিটাই চলেছে অনেকদিন। আর আমার কথা হচ্ছে, আমি তাকে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলব, সবাইকে সঙ্গে নিয়েই বলব। উনার কাজ নিউজে থাকা, আমার না।’

এই খল অভিনেতা আরও বলেন, ‘উনি শিল্পী সমিতিতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে আমার কি লাভ? ও জানে না কিছু, সে শিল্পী সমিতি সম্পর্কে কিছুই জানে না। আসলে উনি আমার বক্তব্যের পয়েন্টটাই ধরতে পারেনি। আমার কথার মূল উদ্দেশ্য হলো- ১২৫ কোটি টাকার সিনেমা বানিয়ে আমার ইন্ডাস্ট্রির কি লাভ? আমি তাকে বোঝাতে চেয়েছি, উনি এত বাজেটের সিনেমা না বানিয়ে “পরাণ”, “হাওয়া”র মতো সিনেমা বানাতে পারেন।

এগুলো তো খুব বেশি বাজেটের সিনেমা না। উনার তো বিগ বাজেটের সিনেমা বানানোর মতো ক্ষমতা আছে। একটি সিনেমার পেছনে এত ব্যয় না করে, সে তো কয়েকটি সিনেমা বানাতে পারতো। ভালো গল্প নিয়ে অল্প বাজেটে ৫০টা সিনেমা বানালেই তো ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে যাবে।’