মেঝেতে সোয়ানো স্ত্রীর লা’শ, রাত ৩টায় এলাকাবাসীকে ডেকে যা বললেন মামুন

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রকে বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই লা’শ হলেন নাটোরের গুরুদাসপুরে আলোচিত সেই শিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪০)। রোববার ভোরে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন খাইরুন নাহার। তার স্বামী মামুন নাটোর এন এস স’রকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এলাকাবাসী জানান, রাত ৩টার দিকে স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গ’লায় ফাঁ’স দিয়ে আত্মহ’’ত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে ম’রদেহ মেঝেতে সোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু স’ন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আ’টকে রেখে পুলিশে খবর দেন।

নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ মৃ’ত্যুর বি’ষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ম’রদেহ উ’দ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এটি আত্মহ’’ত্যা নাকি হ’’ত্যা, তা ম’য়নাত’দন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এর আগে, গত ৩১ জুলাই কলেজছাত্র ও ঐ শিক্ষিকার বিয়ের বি’ষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজে’লার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গো’পনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ঐ শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজে’লার এক ছেলেকে। পারিবারিক ক’লহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক স’ন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

খাইরুন নাহার জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মা’নসিকভাবে ভে’ঙে পড়েছিলাম। আত্মহ’’ত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঐ সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খা’রাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।