রাজ রোশনের সঙ্গে মিমে মুগ্ধ সুবর্ণা মুস্তাফা

| আপডেট :  ১৩ আগস্ট ২০২২, ০২:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ আগস্ট ২০২২, ০২:১৪ অপরাহ্ণ

সুবর্ণা মুস্তাফা দেশের বহুমুখী ও স্বনামধন্য অভিনেত্রী। অনেক অভিনেত্রীর কাছেই তিনি আইডল। যে কোন অভিনেত্রীকে তার প্রিয় অভিনেত্রী কে জিজ্ঞেস করতে গেলে দ্বিতীয়বার না ভেবেই তারা যথাযথ সম্মানের সাথে সুবর্ণা মুস্তাফার নাম উল্লেখ করে। মূলত একুশে পদক বিজয়ী সুবর্ণা মুস্তাফা কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

তিনি যখন কোনও অভিনেত্রীর অভিনয়ের প্রশংসা করেন তখন এটি সেই অভিনেত্রীর স্বীকৃতি এবং সম্মান হয়ে ওঠে। দেশজুড়ে এখন চলছে ‘পরাণ’ ছবির ঢেউ। অনেক সেলিব্রিটিও প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি উপভোগ করেছেন এবং তারা সিনেমাটিতে বিদ্যা সিনহা মিমের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।

সুবর্ণা মুস্তাফার মতে, তিনি ইতিমধ্যেই ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ সিনেমা দেখেছেন। ‘পরাণ’-এ শরিফুল রাজ ও যশ রোশনের সঙ্গে মিমের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। ২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’-এর মুকুট জয়ের পর শোবিজে ক্যারিয়ার শুরু করেন মিম। এই প্রতিযোগিতায় মিমকে অভিনয় করতে হয় ছোট একটি নাটকে। মিমের অভিনয় ছিল কবি আল মাহমুদের বিখ্যাত কবিতা ‘নোলক’-এ। নাটকে মিম একজন ছাত্রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যেখানে তার শিক্ষক ছিলেন অভিনেতা মনির খান শিমুল।

সে বছর ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সারা যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা ও তৌকীর আহমেদ। ছোট নাটক পর্বে সেই সময় মিমের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। সুবর্ণা মুস্তাফা তখন মিমকে বলেন যে তিনি নিশ্চিত নন যে মিম প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবেন তবে ভবিষ্যতে তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী হবেন। ‘পরাণ’ সিনেমাটি দেখার পর সেই প্রতিযোগিতায় মিমের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করতে পারি সে সময় মিমের অভিনয় নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা ছিল। এর আগে তিনি কোনো না কোনোভাবে কাজ করলেও ‘পরাণ’ ছবিতে মিম ‘অন্ন’ চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাটি দেখার পর বলতে পারি, ‘পরাণ’ এখন পর্যন্ত মিমের সেরা কাজ।

এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মিম বলেন, “শ্রদ্ধেয় সুবর্ণা ম্যাডাম আমাদের সকল অভিনেত্রীদের কাছে আইডল। আমি ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার সময় তার সাথে স্মৃতি মনে করতে পারি যেখানে তিনি আমার অভিনয় অভিনয়ের জন্য অত্যন্ত প্রশংসা চেয়েছিলেন। সেই সময়ে তার কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য প্রশংসা আমাকে মিডিয়াতে এই অবস্থানে আসতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি আমার অভিনীত সিনেমা ‘পরাণ’ দেখতে সিনেমা হলে গিয়েছিলেন এটা আমার কাছে সত্যিই ভালো লাগার বিষয়।

উল্লেখ্য, খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘জোনাকীর আলো’ ছবিতে অভিনয় করে বিদ্যা সিনহা মিম প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। সে সময় জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা।