কাপাসিয়ায় নামধারী চিকিৎসকের অবহেলায় প্রাণ গেল নবজাতকের

| আপডেট :  ১১ আগস্ট ২০২২, ০৯:১১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ আগস্ট ২০২২, ০৯:১১ অপরাহ্ণ

শামসুল হুদা লিটন,কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকেঃ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে ডেলিভারি করতে গিয়ে ন’বজাতকের ম’র্মান্তিক মৃ’ত্যু হয়। এদিকে শুধু ন’বজাতকের মৃ’ত্যুই নয় প্রসূতির অবস্থাও গু’রুতর বলে অ’ভিযোগ উঠেছে নামধারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেসমিন নাহারের বি’রুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে গেল বৃহস্পতিবার সকালে উপজে’লার কেন্দুয়া এলাকায় প্রসূতির বাড়িতে। মা-শি’শু, গাইনি ও মেডিসিন এক প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে শারিরীক ক্ষ’তিগ্রস্থ ও ন’বজাতকের মৃ’ত্যু হয়েছে। অ’ভিযুক্ত জেসমিন নাহার বীরউজলী বাজারের আশা ডেন্টাল কেয়ারের সত্ত্বাধিকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অ’ভিযুক্ত নামধারী এ ডাক্তার নিজেকে ‘মা ও শি’শু , গাইনী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেসমিন নাহার। সেবার নামে অ’বৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

এ বি’ষয়ে প্রসূতির স্বামী জহিরুল ইসলাম গত ৯ আগস্ট মঙ্গলবার উপজে’লা নির্বাহী অফিসার ও উপজে’লা স্বা’স্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন। জহিরুল ইসলাম উপজে’লার টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।

অ’ভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে স্ত্রী’র প্রসব বে’দনা দেখা দেয়। পরে বীর উজলী বাজারে নাহার মেডিকেল হলের প্রোপাইটর জেসমিন নাহার কে জানালে ২ ঘণ্টার মধ্যে নরমাল ডেলিভারী করাতে পারবেন বলে আশ্বস্থ করেন। কিন্তু ৩ – ৪ ঘন্টা সময়ক্ষেপন করেও তিনি নরমাল ডেলিভারী করাতে ব্যার্থ হওয়ায় উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে চাইলে বা’ধা দিয়ে তিনি বলেন যদি এই ডেলিভারী না করাতে পারেন তাহলে তার মানসম্মানের হানী হবে। কিছু সময় পর পরিবারের অনুমতি ছাড়াই প্রসূতির জরায়ূ হাত দিয়ে টেনে ছিঁড়ে বাচ্চা বের করেন। এতে ন’বজাতকের মৃ’ত্যু হয় এবং শারিরীকভাবে ক্ষ’তিগ্রস্থের শীকার হয় প্রসূতি।

ভু’ক্তভোগীর স্বামী জহিরুল বলেন, জেসমিন নাহার নিজেকে একজন ‘মা – শি’শু ও গায়নী মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দাবি করেন। তাই আমার স্ত্রীর প্রসব বে’দনা দেখা দিলে তাকে জানালে সে নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে ন’বজাতকের মৃ’ত্যু নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে আমার স্ত্রীর অবস্থাও খুবই আ’শঙ্কাজনক। আমি এমন ডাক্তারের শা’স্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বি’ষয়ে জেসমিন নাহার বলেন, আমি ন’বজাতকের মৃ’ত্যুর জন্য দায়ী না। বাচ্ছা প্রসবে দেড়ি হলে টেনে বেড় করা হয়েছে। এটা একটি দু’র্ঘটনা।

উপজে’লা নির্বাহী অফিসার এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, এ বি’ষয়ে উপজে’লা স্বা’স্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রহমান বলেন, অ’ভিযোগ পেয়েছি উভ’য় পক্ষের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট কখনো ডাক্তার, মা, শি’শু, গাইনী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ লিখতে পারবেনা।