ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়ি : হাইকোর্ট বললেন এভাবে চলতে দেওয়া যায় না

| আপডেট :  ১০ আগস্ট ২০২২, ০২:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ আগস্ট ২০২২, ০২:১৮ অপরাহ্ণ

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ ও মুক্তিযো’দ্ধার বাড়ি দ’খলের অ’ভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দা’য়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দা’য়ের করেন। দু’র্নীতি দ’মন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ রিটে সংশ্লিষ্টদের বিবা’দী করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রিট আবেদনটির ও’পর শুনানি হতে পারে। এর আগে গত ৮ আগস্ট ওসি মনিরুল ইসলামের আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ ও মুক্তিযো’দ্ধার বাড়ি দ’খলের অ’ভিযোগ হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এ বি’ষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনা হয়।তখন আ’দালত দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এ বি’ষয়ে অবশ্যই অনুসন্ধান হওয়া উচিত।

পরে আ’দালত ত’দন্ত চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনকে একটি আবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে বলেন। এ বি’ষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, বি’ষয়টি আ’দালতের নজরে আনা দরকার। দুদকের ত’দন্তের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মা’মলা।’

তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য সৎ পুলিশ অফিসার রয়েছে। কিন্তু এই ওসির মতো যদি সবাই এত সম্পদ বানান, তাহলে সৎ অফিসার যারা, তারা মনে অনেক বেশি ক’ষ্ট পাবেন। এর ফলে দেশে আর সৎ অফিসার নাও হতে পারেন।’

‘এভাবে অসৎ অফিসাররা যদি ট্রেন্ড তৈরি করেন, তাহলে সৎ অফিসার খুঁজে পাওয়া যাবে না। এজন্য বি’ষয়টি আ’দালতের নজরে নিয়ে এসেছি। আ’দালত শুনেছেন। শুনে আ’দালত বলেছেন, এটা তো ঠিক না। ‘তখন আ’দালত দুদকের আইনজীবীকে ডেকেছেন। দুদকের আইনজীবীও বলেছেন, এটা খুবই হু’মকিস্বরূপ; এটা হতাশাজনক। তখন আ’দালত আমাকে পিটিশন নিয়ে যেতে বলেছেন।

গত ৪ আগস্ট ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্ম’দপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযো’দ্ধার বাড়ি দ’খলেরও অ’ভিযোগ রয়েছে তার বি’রুদ্ধে।

স’রকারি একটি সংস্থার ত’দন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অ’বৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি।

পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকল্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দু’র্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।

জানা যায়, ১৯৯২ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম, যখন এই পদটি তৃতীয় শ্রেণির ছিল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। প্রায় ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজে’লায়।’

সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট