‘মনপুরা’র পর নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ‘পরাণ’

| আপডেট :  ৫ আগস্ট ২০২২, ০৩:২৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ আগস্ট ২০২২, ০৩:২৪ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদিন পর প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে দর্শক সিনেমা হলে ফিরতে শুরু করেছে। এই সিনেমাটি চলচ্চিত্র শিল্পের গতি এনে দিয়েছে।

ঈদের দিন ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও দিন দিন সিনেমাটির দর্শকপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও। সেই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার ‘পরাণ’ মুক্তির ৪ চতুর্থ সপ্তাহ শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর দেশের কোনো সিনেমা টানা ৪ সপ্তাহ প্রদর্শনীর রেকর্ড গড়ল। যদিও ভাঙা সপ্তাহের কারণে এবার ঈদের মুক্তি পাওয়া সিনেমার প্রথম সপ্তাহ ১২ দিনে। এই সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশের ৪৫টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি।

মুক্তির পরই সিনেমাটি দর্শক মহলে সাড়া জাগায়। বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে টিকিট না পেয়ে অপেক্ষা করতে হয় দর্শকদের। বাধ্য হয়ে সিনেপ্লেক্স শো সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতিদিন ১৮ শো করে। দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে এর হল সংখ্যা এক লাফে দাঁড়ায় ৫৫টি। তৃতীয় সপ্তাহে এসে হল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০টি। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ‘পরাণ’ সুবাতাস তাতে কোনো সন্দেহ নেই, বাংলা সিনেমার যেন জয়জয়কার শুরু হয়েছে।

দেশীয় সিনেমায় ব্যবসা নেই এমন কথা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে লাইভ টেকনোলজিসের ‘পরাণ’ সিনেমা। ‘পরাণ’ শুধু নিজেরাই ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে তা নয়, ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়িক গতি পরিবর্তন করেছে। গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়েও তৈরি হয়েছে দর্শকদের আগ্রহ। দেশীয় সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে চলচ্চিত্রবোদ্ধারা।

‘পরাণ’ সিনেমাটি প্রযোজনা করে লাইভ টেকনোলজিস। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইয়াসির আরাফাত জানান, আমাদের হিট একটি কনটেন্ট ‘পরাণ’। এজন্য সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী, সিনেমার কলাকুশলী এবং অবশ্যই দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।

দেশের প্রেক্ষাগৃহে যে দর্শক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, এতে সিনেমাটি হলে আরও অনেক দিন প্রদর্শিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এখনও সেলস বাম্পার, রিপোর্ট শো করব আমরা এই সপ্তাহে। আমার বিশ্বাস দর্শক যদি এভাবেই সিনেমাটি দেখতে থাকেন তাহলে ‘মনপুরা’র পর নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ‘পরাণ’।

ত্রিভুজ প্রেমের ‘পরাণ’ সিনেমার প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম ও ইয়াশ রোহান। এটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী।