আমি আগেই জানতাম, বিয়ের পর স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে: পূর্ণিমা

| আপডেট :  ১ আগস্ট ২০২২, ০১:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ আগস্ট ২০২২, ০১:২৭ অপরাহ্ণ

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমার নতুন জীবনসঙ্গী একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান রবিন। গত ২৭ মে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে তাদের। বিয়ের ২ মাস পর ২১ জুলাই সন্ধ্যায় চিত্রনায়িকা নিজেই বিয়ের খবরটি জানান সবাইকে।

বর্তমানে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সাথে এক ছাদের নিচে বসবাস করছেন এ অভিনেত্রী। চার বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পরেই রবিনকে বিয়ে করেছেন ‘মনের মাঝে তুমি’ খ্যাত এই নায়িকা। তবে পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন তার চেয়ে বয়সে ছোট। বিয়ের খবর প্রকাশের পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাজন নানা কথাও বলছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন নায়িকা?

জানতে চাইলে সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিককে পূর্ণিমা বলেন, এ বিষয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি ছিলাম আমি। জানতাম, বিয়ের পর স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে। যাঁরা এসব লেখেন, না লিখতে পারলে ভালো থাকবেন না তাঁরা। না লিখতে পারলে তাঁদের মন খিটখিট করবে। আমাকে দুই–তিনটা গালি দিতে না পারলে উল্টা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করবেন তাঁরা।

আমাকে নিয়ে এভাবে গালাগালি করে যদি তাঁদের শান্তি লাগে, আমি খুশি। আমার ছবি নিয়ে পোস্ট করে দু-চারটা গালি দিক, আমার কোনো সমস্যা নেই। তবু তাঁরা শান্তিতে থাক, সুখে থাক, সুস্থ থাক। তাঁদের জন্য আমাদের দুজনের পক্ষ থেকে শুভকামনা। এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাই না।

রবিনকে ভালো লাগার কারণ জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, তাঁর ব্যবহার, আন্তরিকতা, অনেক যত্নশীল—এসব বিষয় বেশি ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আমার মেয়ের প্রতি তাঁর আবেগ বেশি, যা আমাকে দারুণভাবে আকর্ষণ করে। একটা মেয়ে যখন বাচ্চাসহ আবার বিয়ে করে, তখন মেয়েটি তাঁর সঙ্গে কী হবে, সেটা নিয়ে ভাবে না।

তাঁর বাচ্চার সঙ্গে স্বামীর ব্যবহার কেমন হবে, সেটা নিয়েই চিন্তা করে বেশি। আমিও সেই চিন্তাই করেছি। কিন্তু তাঁকে দেখেছি, আমার চেয়ে আমার বাচ্চাকে বেশি আগলে রাখে, বাচ্চা নিয়ে তাঁর এক্সাইটমেন্ট বেশি, যা আমাকে দারুণভাবে আলোড়িত করে। বাচ্চাকে খুব আদর করেন। তা ছাড়া আমার শ্বশুর-শাশুড়িসহ বাসার সবাই বাচ্চা ভালোবাসেন।

নতুন সংসারে সুখে আছেন জানিয়ে নায়িকা বলেন, আমাদের দুজনের পরিচয় অনেক দিনের। রবিন দীর্ঘদিন ধরে একটি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে আসছেন। আমি বিনোদন অঙ্গনের মানুষ। সেই সুবাদে তাদের পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য দেশের নানা প্রান্তে আমরা অনেকেই একসঙ্গে যাওয়া–আসা করেছি।

এভাবেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। কাজের সুবাদেই নিজেদের বোঝাপড়ার জায়গাটা তৈরি হয় একসময়। এরপর এক বছর আগে সিদ্ধান্ত নিই, আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি। এখন সবকিছু মিলে ভালো আছি। সংসারও ভালো যাচ্ছে।