সব
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, চারদিকে বারুদের গন্ধ, অ’স্ত্র তাক করে রেখেছে। আমাকে মে’রে ফে’লতে পারে। আমাকে মে’রে ফেললে আপনারা জানাজা পড়ে মাটি দিয়ে আসবেন। তবে আমি রীতিমতো সত্য কথা বলে যাবো। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার ২, ৫, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি এ বাঙালি জাতির জন্য ৩০ বছর আন্দোলন করেছেন, ১৪ বছর কা’রাগারে ছিলেন, ৩ বার ফাঁ’সির কাস্টে গিয়ে বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। সেই নেতাকে সপরিবারে হ’’ত্যা করা হয়েছে। আপনারা যে যে দল করেন, শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করেন, আওয়ামী লীগকে ও অপছন্দ করেন স’মস্যা নেই।
কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবেন, না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে পরিচিতি পাবো। গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রশাসনের লোকজনের নিকট ফল চেয়েছেন। অতি উৎসাহী প্রশাসনের লোকজন গাছসহ নেত্রীকে দিয়েছেন। এতে নেত্রীর ভাবমূর্তি ন’ষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন বেশি উড়তেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও নিশ্চিত হয় নাই।
আমি নেত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি সিদ্ধান্ত নিন, মা’দক ও নারী কেলেংকারীর সাথে আওয়ামী লীগের কোন নেতা থাকতে পারবেন না। নেত্রীকে বলব, মা’দকের বি’রুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করুন। তিনি আরও বলেন, আমাদের পোস্টার মাইজদী ও ফেনীর ষ’ড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফে’লেছে। বিএনপি, জামায়াত আমার পোস্টার ছিঁড়ে নাই। আমি আবারও বলছি, বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩-৪টি আসন পাবে। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরে যাবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না, আমাকে এ কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বি’রুদ্ধে কথা বলতে হবে, দু’র্নীতির বি’রুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে হবে।
শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী, ১৭বার ওনাকে মে’রে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ ওনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বিএনপি পিন্টুর মতো দু’র্নীতিবাজ নেতাদের বিচার করেনি, আমার নেত্রী নিজের দলের দু’র্নীতিবাজদের বিচার করে দেশবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসেছে, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। মির্জা আরও বলেন, আমাদের নেতা মো. শাহাব উদ্দিন দুই পিরিয়ড উপজে’লা চেয়ারম্যান, অথচ তিনি স’রকারের সম্মানী ভাতা নেননি, স’রকারি বাড়িতেও থাকেননি। এ সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাকে জে’লা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজে’লা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযো’দ্ধা খিজির হায়াত খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজে’লা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে।
আমাদের সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর ও হাবিবপুর থেকে সাড়ে ৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেয়া হয়। ৩ মাস পর আমরা গ্যাস না ফে’লে শাহজাদপুর ও হাবিবপুরে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেয়া বন্ধ করে দিব। আমি প্রথমে আমার কোম্পানীগঞ্জের স্বার্থ দেখব, বাকিটা পরে দেখা যাবে। তিনি বলেন, এদেশে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না, আঙ্গুল বাঁকা করতে হয়। বসুরহাট পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৬শ’ স্যোলার বাতি লাগানো হবে। ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানির টেন্ডার হয়ে গেছে। অচিরে কাজ শুরু হবে।
এগুলো সব আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের অবদান। আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে চাই যদি কাগজে লেখ নাম, সে নাম মুছে যাবে, পাথরে লেখ নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখ নাম, সে নাম রয়ে যাবে। আগামী ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত আমার নাম আপনাদের হৃদয়ে লিখে রাখবেন এবং আমাকে ভোট দিবেন।