সব
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত পেয়েছে পরাণ সিনেমা। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই সারাদেশে সিনেমা প্রেমিদের মধ্যে প্রশংসার জোয়ার বইছে। পরাণে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিম ও শরিফুল রাজ। প্রতিটী প্রেক্ষাগৃহেই সিনেমাটি হাউজফুল। পরাণ সিনেমাটি প্রশংসা কুড়ালেও রয়েছে সমালোচনাও। সিনেমাটি নারীকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করায় সিনেমা বিশ্লেষকরা।
পরাণ সিনেমা ঘিরে আলোচনায় এসেছে বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা। অনেকে মনে করছে রিফাত শরীফ হ’ত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। রিফাত হ’ত্যা ঘটনাটি এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন।
সিনেমা বিশ্লেষকদের মতে, পরাণ ছবিতে প্রধান তিনটি নারী চরিত্রকেই ‘নেগেটিভ’ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনন্যাকে দেখানো হয়েছে মূল অপরাধী হিসেবে। তার কারণে তিনটি জীবন নষ্ট হয়েছে বলে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া ছবিতে মিন্নির তৃতীয় প্রেমিককে হাজির করার ঘটনাটিও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
পরাণ সিনেমাকে ঘিরে পরাণ ছবিতে নারীকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষক এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মনিরা শরমিন।
মনিরা শরমিন তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি গেলো দুই দশকে বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্রে এত অকারণ নারী বি’দ্বেষ পোট্রে হইতে দেখি নাই। অকারণে নারীকে এত অ’পমান করতেও দেখি নাই। আমরা যখন একজনের ইংলিশ বানান আর উচ্চারণ শিখানোর দায় নিয়ে বসে আছি; তখন, একই সময়েই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর জন্য সবচেয়ে পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট এবং অ’বমাননাকর সিনেমাগুলোর একটি মুক্তি পেয়েছে।
আমরা তাকে ভালো বলেছি। কেনো ভালো বলেছি তার কারণ আমার জানা নাই। এই সিনেমায় রাজের অভিনয় ছাড়া আর কিছু নাই, কিছুই নাই। রায়হান রাফি মোরাল পুলিশিং এর সবটুকু দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে জাতিকে ধন্য করেছেন পরাণ নির্মাণের মধ্য দিয়ে।’