তিমির বমি থেকে মিলছে কোটি কোটি টাকা

| আপডেট :  ২৫ জুলাই ২০২২, ১২:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ জুলাই ২০২২, ১২:১০ অপরাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ বমি শব্দটির কথা শুনলে যেন খারাপ লাগে। কিন্তু আপনি কি জানেন বমির দাম কখনো কোটি কোটি হতে পারে। আজকে আপনাদের কাছে তিমির বমি দাম যে কোটি টাকা হতে পারে তা এই প্রতিবেদনে আলোচনা করবো।

তিমির বমির নাম অ্যাম্বারগ্রিস, এটি বেশ পরিচিত শব্দ অনেকের কাছে । শুনলে অবাক হবেন যে, তিমির বমি অত্যন্ত দামি একটি বস্তু, যেটি তৈরি হয় তিমির পেটে। ভারতের কেরালা রাজ্যের একদল জেলে খুঁজে পেয়েছেন এমন একদলা বমি। যার আনুমানিক মূল্য ২৮ কোটি রুপি। সেটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন তাঁরা।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, তিমির বমিটি বন বিভাগ শহরের রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজিতে (আরজিসিবি) নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শহরের কাছাকাছি ভিঝিনজামের একদল জেলে অ্যাম্বারগ্রিসটি খুঁজে পান।

জানা যায়, দেশটির জেলেরা সাগরে ২৮ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের অ্যাম্বারগ্রিস পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তীরে নিয়ে এসে উপকূলীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। উপকূলীয় পুলিশ শনিবার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, তারা আমাদের কাছে অ্যাম্বারগ্রিস হস্তান্তর করেছে। আমরা বন বিভাগকে জানিয়েছি এবং তারা আমাদের কাছ থেকে এটি গ্রহণ করেছে।

কোস্টাল পুলিশ গতকাল শনিবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানায়, জেলেরা অ্যাম্বারগ্রিসটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ সেটি বন বিভাগকে জানায়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে সেটি নিয়ে গেছেন। অ্যাম্বারগ্রিসটি শহরের রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজিতে (আরজিসিবি) নিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে বন বিভাগ।

উল্লেখ্য, তিমির বমি একটি শক্ত পিচ্ছিল পিণ্ড। এটি তৈরি হয় স্পার্ম হোয়েলের (শুক্রাণু আকৃতির তিমি) পেটে। প্রাচ্যের সংস্কৃতিতে এই বস্তু দামি ওষুধ, উপশমকারী এবং মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর পশ্চিমে পারফিউম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান বাজারে এক কেজি অ্যাম্বারগ্রিস প্রায় এক কোটি রুপিতে বেচাকেনা হয়।