একসঙ্গে ডিজে পার্টিতে মাস্তি করতেন সাবরিনা-সাহেদ

| আপডেট :  ২০ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ জুলাই ২০২২, ০২:৩৭ অপরাহ্ণ

ক’রোনাভা’ইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে প্র’তারণার অ’ভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আ’সামির মা’মলার রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার। ক’রোনাভা’ইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির কারণে আলোচিত দুটি নাম রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদুল করিম ওরফে সাহেদ এবং জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) কথিত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। জালিয়াতির অ’ভিযোগে গ্রে’প্তার হয়েছেন দুজনেই।

গ্রে’প্তারের আগে দুজন দুই প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও একে অপরকে চিনতেন। একসঙ্গে তারা ডিজে পার্টিতে যেতেন। আনন্দ ফুর্তিও করতেন।ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী রি’মান্ডে পুলিশকে এসব তথ্য জানিয়েছেলেন। রি’মান্ডে তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আলোচিত সাহেদ করিমের সঙ্গেও সখ্য ছিল সাবরিনার। তারা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে ডিজে পার্টিতেও যেতেন তারা।

মা’মলার ত’দন্তে সংশ্লিষ্ট একটি গো’য়েন্দা সূত্র জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তারা পরস্পরকে আগে থেকে চিনতেন। তাদের জানাশোনা ছিল দীর্ঘদিনের। নিয়মিত তারা পার্টিতে অংশ নিতেন। সেই পার্টিতে চলতো ডিজে-মা’দকতা। সাহেদ-সাবরিনা ছাড়া সেই পার্টিতে আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন।

গো’য়েন্দা কর্মকর্তাদের জি’জ্ঞাসাবাদে সাহেদ ও সাবরিনা একে অপরকে চেনা-জানার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। দিয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক’রোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়া সাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সাবরিনা।

এছাড়া জেকেজির উত্থানের নেপথ্যে স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয় ও স্বা’স্থ্য অধিদপ্তরের বড় একটি চ’ক্র কাজ করেছে বলে জানা গেছে। ওই চ’ক্রের মাধ্যমেই জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যন ডা. সাবরিনা স্বা’স্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে ক’রোনা পরীক্ষার অনুমতি বাগিয়ে নেন।

জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ, স’রকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথ কেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল জেকেজি। অ’ভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২০ সালের ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজিন পাটোয়ারীকে গ্রে’প্তার করা হয়।

তিনি ক’রোনার ভুয়া সার্টিফিকে’টের ডিজাইন তৈরি করতেন বলে হিরু জানান। আ’দালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দিতেও হিরু জেকেজির জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। এরপর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজন গ্রে’প্তার হন।

আর আরিফুলকে জি’জ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার সম্পৃক্ততা উঠে আসে। তবে সাবরিনা নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান নয় বরং প্রতিষ্ঠানটির কোভিড-১৯ বি’ষয়ক পরামর্শক বলে দাবি করেন।