‘পরীমনি পরধনভোগী, ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ অর্জন করাই তার পেশা’ (ভিডিও)

| আপডেট :  ১৮ জুলাই ২০২২, ০৭:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ জুলাই ২০২২, ০৭:১২ অপরাহ্ণ

কৌশলে ফাঁ’দে ফে’লে মানুষের অর্থ-সম্পদ অর্জন করাই চিত্রনায়িকা পরীমনির পেশা। এছাড়াও সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামি দামি ক্লাবে প্রবেশ করে অ্যালকোহল পান করেন ও পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে বিশৃঙ্খলা করেন।

ব্যবসায়ী নাসিরকে হ’’ত্যাচেষ্টা, মা’রধর ও ভ’য়ভীতি দেখানোর অ’ভিযোগে সোমবার (১৮ জুলাই) নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বি’রুদ্ধে মা’মলাটি পুলিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ত’দন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আ’দালত। মা’মলার অ’ভিযোগে এসব কথা উল্লেখ করেন মা’মলার বা’দী বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

এর আগে গত ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আ’দালতে বোট ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ বা’দী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বি’রুদ্ধে এ মা’মলা করেন। আ’দালত বা’দীর জ’বানব’ন্দি গ্রহণের জন্য আজ (১৮ জুলাই) দিন ধার্য করেন। আজ বিচারক মা’মলাটি সিআইডিকে ত’দন্ত করে ৬ অক্টোবর এ বি’ষয় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।এ মা’মলার অন্য দুই আ’সামি হলেন পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মা’মলার অ’ভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, পরীমনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। কৌশলে ফাঁ’দে ফে’লে মানুষের অর্থ সম্পদ অর্জন করাই তার পেশা। এছাড়া সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামি দামি ক্লাবে প্রবেশ করে অ্যালকোহল পান করেন ও পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে বিশৃঙ্খলা করেন। উল্টো ক্লাবের স্টাফদের মি’থ্যা মা’মলা দিয়ে হ’য়রা’নির ভয় দেখায় পরীমনি। তিনি একজন চলচ্চিত্র নায়িকা ও প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার বি’রুদ্ধে মা’মলা করার সাহস করে না। কেউ কেউ শুধু জি’ডি করেছেন।

মা’মলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পানে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামি দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মি’থ্যা মা’মলা করিয়ে হ’য়রা’নির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আ’সামিরা সাভারের বোট ক্লাবে প্রবেশ করেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বা’দী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অ’শ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চা’প দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির ও আ’সামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বা’দীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মা’রেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মা’রেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আ’ঘাতপ্রাপ্ত হন।

বা’দী মা’মলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মা’রধর ও হ’’ত্যার হু’মকি দিয়েছেন এবং বোট ক্লাবে ভা’ঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধা’মাচা’পা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বা’দী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বি’রুদ্ধে ধ”ণচেষ্টা ও হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগ তুলে মা’মলা করেন।

২০২১ সালের ১৪ জুন ধ”ণচেষ্টা ও হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অ’জ্ঞাত আ’সামি করে পরীমনি সাভার থানায় মা’মলা করেন। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে নাসিরসহ তিনজনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগপত্র জমা দেন।

চলতি বছরের ১৮ মে ঢাকার নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আ’সামিদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মা’মলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আ’দালত। অ’ভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আ’সামি।