শাশুড়ির হাত-পা, মা’থা বি’চ্ছিন্ন করে করে মাটিচা’পা দিলেন পুত্রবধূ

| আপডেট :  ১৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৪৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৪৭ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের রামুতে শাশুড়িকে হ’’ত্যা পর ম’রদেহ ৬ টু’করো করে বাড়ির আঙিনায় মাটিচা’পা দেওয়ার অ’ভিযোগে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৩) গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে ম’রদেহ উ’দ্ধারের পর তাকে গ্রে’ফতার করা হয়।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের মধ্য উমখালী হাজির পাড়ায় এ হ’’ত্যার ঘটনা ঘটে। রাশেদা কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীর ছোট চৌধুরী পাড়ার সৈয়দ নুরের মেয়ে। নি’হতের নাম মমতাজ বেগম (৬০)। তিনি ওই পাড়ার মৃ’ত আবদুল কাদেরের স্ত্রী। পুত্রবধূ রাশেদা নি’হতের আপন ভাতিজি।

মিঠাছড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আমির হামজা পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে আলমগীর কক্সবাজারের কলাতলীর একটি হোটেলে চাকরি করেন। শনিবার নাইট ডিউটি থাকায় সন্ধ্যার আগেই চলে যান। রাতে শাশুড়ির সঙ্গে বউয়ের ঝ’গড়া হয়। একপর্যায়ে শাশুড়িকে হ’’ত্যার পর দুই হাত, দুই পা, মা’থা বি’চ্ছিন্ন করে বাড়ির নলকূপের পাশে মাটিচা’পা দেন।

রোববার সকালে বাড়ি এসে মাকে খুঁজলে তিনি রাগ করে চকরিয়ায় মেয়ের বাসায় গেছেন বলে জানায়। সেখানে যায়নি জানতে পেরে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। দুপুরে বাড়ির নলকূপের পাশে নতুন খোঁড়া মাটি দেখে স’ন্দেহ হলে অল্প খুঁড়েই মায়ের শাড়ি দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মমতাজ বেগমের দেহের ছয় টুকরো উ’দ্ধার করে।

রামু থানার ওসি (ত’দন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী জানান, পুলিশ মমতাজ বেগমের মাথা, বিচ্ছিন্ন দুই হাত ও দুই পা উ’দ্ধার করেছে। পারিবারিক ক’লহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ম’য়নাত’দন্তের জন্য ম’রদেহ কক্সবাজার স’রকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।