সব
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হা’মলায় নি’হত হন বড় ভাই আবরার ফাহাদ। ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও ভর্তি হওয়া নিয়ে ছিলেন দ্বিধা-দ্ব’ন্দ্বে। তার ও’পর গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি) ভর্তি ছিলেন।
তবে, এবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। আবরার ফাইয়াজ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (যন্ত্রকৌশল) বিভাগেই পড়বেন। এমনকি যে হলে তার ভাইকে নি’র্মমভাবে পি’টিয়ে মে’রে ফেলা হয়েছে, সেই হলে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এতে মত দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ফেসবুকের এক পোস্টে আবরার ফাইয়াজ নিজেই বি’ষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, ৩০ জুন বুয়েটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। আবরার ফাইয়াজ মেধাতালিকায় ৪৫০তম স্থান দ’খল করেন, যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান তিনি।
ফল পেয়ে খুশি হলেও আবরার ফাইয়াজ সেসময় জানিয়েছিলেন, ইচ্ছা আছে বুয়েটে ভর্তি হওয়ার। তারপরও পরিবারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। দুপুরে বুয়েটে ভর্তি ব্যাপারে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাইয়াজ।
আবরার ফাহাদ ছিলেন ফাইয়াজের একমাত্র ভাই। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। বাবা বেস’রকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, মা একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তার ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বা’দী হয়ে চকবাজার থানায় হ’’ত্যা মা’মলা করেন। এ মা’মলায় ২০ জনকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কা’রাদ’ণ্ড দিয়েছেন আ’দালত। দ’ণ্ডিতরা সবাই বুয়েটের ছাত্র ছিলেন।