লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর মিনা

| আপডেট :  ৭ জুলাই ২০২২, ০২:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ জুলাই ২০২২, ০২:১৫ অপরাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ লাখো মুসল্লির কণ্ঠে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার) ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সৌদি আরবের মক্কার মিনা।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন পবিত্র হজের মূলপর্ব শুরু হয়েছে। আকুল হৃদয়ে মহান রাব্বুল আলামিনকে বলবেন, ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই; সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’।

করো’না ম’হামা’রির কারণে গত দুই বছর হজে সৌদি আরবের বাইরে কেউ অংশ নিতে পারেননি। করো’না পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার সীমিত আকারে হজ পালনের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব। এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০ হাজার হজযাত্রী ইতোমধ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে রয়েছে ৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন অবস্থান। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন তারা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় ফিরে কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।

আরাফাতের ময়দানে এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ৯ জিলহজ (শুক্রবার) এ খুতবা দেবেন। একই সঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজেও ইমামতি করবেন। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) হারামাইন শরিফাইনের জেনারেল প্রেসিডেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।