হজের খুতবা বাংলা অনুবাদ করবেন যিনি

| আপডেট :  ৬ জুলাই ২০২২, ০১:২৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ জুলাই ২০২২, ০১:২৪ অপরাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর হজের খুতবা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় খুতবার অনুবাদ কার্যক্রম শুরু হয়। এ বছর আরাফার খুতবা বাংলাসহ ১৪টি ভাষায় লাইভ অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। সারা বিশ্বের হাজিরা জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফা প্রাঙ্গণে সমবেত হবেন। সেদিন মসজিদে নামিরা থেকে উপস্থিত মুসলিমদের উদ্দেশে আরবিতে খুতবা প্রদান করবেন নির্ধারিত খতিব।

এবারের খুতবা বাংলায় অনুবাদ করবেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মাওলানা শোয়াইব রশীদ মাক্কী। অনুবাদ কার্যক্রমে তাঁর সহকারী হিসেবে থাকবেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মাওলানা খলিলুর রহমান। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) শোয়াইব রশীদ মাক্কী এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

শোয়াইব মাক্কী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এ বছর আমি বাংলা ভাষায় সেই খুতবা অনুবাদ করব। এমন সম্মানিত স্থানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। ’ এর আগে গত শুক্রবার (১ জুলাই) মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে প্রদত্ত জুমার খুতবাও অনুবাদ করেছেন বলে জানান তিনি। মূলত তিনি গত জুমার খুতবা অনুবাদের মাধ্যমে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগে লাইভ অনুবাদ কার্যক্রম শুরু করেন। manaratalharamain.gov.sa ওয়েবসাইটে গিয়ে বাংলা অপশনে ক্লিক করলে তা শোনা যাবে।

তিনি জানান, ‘গত ১৪৩৯ হিজরি মোতাবেক ২০১৮ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুবাদ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। এরপর দুই বছর ধরে হজযাত্রীদের বিভিন্ন ভাষায় সেবা দেওয়ার অংশ হিসেবে সরাসরি বাংলা ভাষায় খুতবা অনুবাদের কার্যক্রম চলছে। ’ এ বছর অনুবাদ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রতিষ্ঠান তাঁদের দুজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মাওলানা শোয়াইব রশীদ মাক্কীর বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী। ১৯৯৮ সালে তিনি চট্টগ্রামের জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ায় দাওরায়ে হাদিস ও পরের বছর উচ্চতর আরবি সাহিত্যে ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর উচ্চশিক্ষা অর্জনে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে সৌদি আরবের উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। বর্তমানে তিনি পিএইচডি গবেষণার শেষ পর্যায়ে আছেন। সম্প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিকে, মাওলানা খলিলুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়। ১৯৯২ সালে তিনি ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল বিভাগে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৯৭ সালে উচ্চশিক্ষা অর্জনে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় মক্কায় অধ্যয়ন করেন। বর্তমানে তিনিও পিএইচডি গবেষণার শেষ পর্যায়ে আছেন।