সব
বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরবানির হাট বসা শুরু করেছে। এবার কোরবারনির পশুর হাট বা খামার গুলোতে বড় আকারের গরু বা ষাঁড়গুলোর নাম খামারিরা বেশি দিয়েছেন- বস, রাজাবাবু, টাইগার, দুরন্ত, কালামানিক, ধলাপাড়ার ইত্যাদি। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া তার এক গরুর নাম রেখেছেন ‘জায়েদ খান’ ।
দেখা যায়, ষাঁড়টিকে সাজিয়ে হাটে তোলা হয়েছে। লালছে-কালোর মিশ্রণে জায়েদ খান। ষাঁড়টির ওজন ৬০০ কেজিরও বেশি। নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর পশুর হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে ‘জায়েদ খানকে’।
এদিকে, বর্তমান সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খানের নামে নাম রাখা গরুটিকে দেখার জন্য হাটে ভিড় করছেন ক্রেতা ও উৎসুক জনতা। ষাড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত জায়েদ খানের দাম উঠেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ নিয়ে খামারি ইউনুস মিয়া জানান, এবার কোরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য তার খামারে ২০টিরও বেশি গরু পালন করেছেন। খামারের বড় গরুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন নাম দেয়া হয়েছে। ‘জায়েদ খানে’র নামও আকর্ষণের জন্যই দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার শতাধিক কুরবানির পশুর হাট বসবে। এসব হাটে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ এলাকায় কুরবানির জন্য পশুর চাহিদা আছে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি।