টাকা আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

| আপডেট :  ৪ জুলাই ২০২২, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ জুলাই ২০২২, ০৯:১৬ অপরাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়ালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ নির্দেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাদী ইউনুছ হাওলাদার রূপম অভিযুক্ত ইউছুফ ছৈয়ালের কাছে ৩২ লাখ টাকা পান। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসলেও তিনি টাকাগুলো দেননি। সোমবার আদালতে হাজিরা ছিল। বাদীর টাকা না দেওয়ায় আদালত ইউছুফকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইউছুফ ছৈয়াল সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাদী রূপম হাওলাদার সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

এজাহার সূত্রে জানা যায় , ২০২০ সালে রূপম হাওলাদার মেঘনা নদীর মজু চৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট ইজারার জন্য ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। ঘাটটি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালের চররমনী মোহন ইউনিয়নে। এতে তিনি রূপমের সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করবেন ও তার নামেই ঘাট ইজারা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রূপম তাতে রাজি হন।

রূপম তখন ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার ও আরও ১০ লাখ টাকা দেন। এতে রূপম ও ইউছুফ ছৈয়াল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ঘাটটি ইজারা পান। কিন্তু কাগজপত্রে ইউছুফ ছৈয়ালের পরিবর্তে তার ভাতিজা বাবুল ছৈয়ালের নাম দেখা যায়। কারণ জানতে চাইলে ইউছুফ তখন রূপমকে জানান, চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে নিজ নামে তিনি ইজারা নিতে পারবেন না। এর কিছুদিন পর রূপমের অংশীদারিত্বের কথা তিনি অস্বীকার করেন। টাকা চাইলেও দেবেন না বলে জানান। এতে বাধ্য হয়ে রূপম লক্ষ্মীপুর আদালতে ইউছুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ টাকা পাওনা উল্লেখ করে মামলা করেন।

এদিকে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য একাধিকবার ইউছুফ ও রূপম সদর মডেল থানায় লোকজন নিয়ে বৈঠকে বসেন। বারবারই তিনি টাকা দেবেন বলে জানান। সবশেষ গত ইউপি নির্বাচনের আগমুহূর্তে আদালতে মামলাটির হাজিরা ছিল। তখন বৈঠকের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি মীমাংসার কথা বললে জামিন পান; কিন্তু এরপরও তিনি টাকা ফেরত দেননি। আদালতে রূপম ৩২ লাখ টাকা পাওনা বলে প্রমাণিত হয়। ওই টাকা না দেওয়ায় আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।