‘মাহির বডি ফিটনেস নেই, বয়স হয়েছে’ : প্রযোজক আজিজ

| আপডেট :  ১ জুলাই ২০২২, ০৪:৫৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ জুলাই ২০২২, ০৪:৫৪ অপরাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ ‘মাহির বর্তমানে বডি ফিটনেস আর ফ্লেক্সিবিলিটি নেই। বয়স হয়েছে। তাছাড়া এটা নতুন গল্প। সুতরাং মাহির থাকা উচিৎ নয়।’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রযোজক আব্দুল আজিজ।

বাংলা চলচিত্রের জনপ্রিয় মাহির ক্যারিয়ারে অন্যতম সফল সিনেমা ‘অগ্নি’ ও ‘অগ্নি ২’। দুটি সিনেমাই নারীকেন্দ্রিক। এগুলোতে মাহিকে দেখা গেছে অ্যাকশন অবতারে। দর্শকের কাছে সিনেমা দুটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। ভক্তদের কাছে মাহি পরিচিতি পান ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে।

প্রযোজক আব্দুল আজিজ জানান, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমেই নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মাহিয়া মাহি। আরও সহজ করে বললে, প্রযোজক আব্দুল আজিজদের হাত ধরেই ঢালিউডে এসেছেন তিনি। এরপর জাজের বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।

এদিকে, প্রযোজক আব্দুল আজিজ ঘোষণা দিলেন, ‘অগ্নি ৩’ আসছে। এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের মনে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সবাই জানার চেষ্টা করছেন, এই সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে কে থাকবেন। আগের দুটি সিনেমার মতো মাহিকেই নেওয়া হবে নাকি নতুন কেউ আসবেন অগ্নি হয়ে?

আজিজের ফেসবুক পোস্টে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, “আমি মাহিকেই চাইব। ‘অগ্নি’ সিরিজে মাহিই সেরা পারফর্ম করেছে।”
ওই মন্তব্যের জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘মাহির বর্তমানে বডি ফিটনেস আর ফ্লেক্সিবিলিটি নেই। বয়স হয়েছে। তাছাড়া এটা নতুন গল্প। সুতরাং মাহির থাকা উচিৎ নয়।’

অনেকে বলাবলি করছেন, ‘অগ্নি ৩’-এ পূজা চেরিকে দেখা যেতে পারে। সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন আজিজ। তিনি বলেছেন, ‘এই চরিত্রটির জন্য একজন সুপারফিট অভিনেত্রীর দরকার। তাই হলিউড থেকে কাউকে নেওয়ার কথা ভাবছি। কারণ এবারের চরিত্রটি আগের চেয়ে আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং। আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য আছে। পূজা এত ঝুঁকি নিতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।’

সিনেমাটির গল্প চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে নির্মাতা কে হবেন, সেটা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। আজিজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সৈকত নাসিরের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ সেরেছেন। হয়ত তিনি পরিচালনা করবেন। আবার হলিউডের কোনো নির্মাতাও থাকতে পারেন।

উল্লেখ্য, ‘অগ্নি’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এতে মাহির সঙ্গে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ। সিনেমাটি সে বছর সফল হয়। এরপরের বছরই তাই জাজ মুক্তি দেয় ‘অগ্নি ২’। এতে মাহির বিপরীতে কলকাতার ওম সাহানিকে দেখা যায়। এটিও পেয়েছিল সাফল্য। দুটি সিনেমাই পরিচালনা করেছিলেন ইফতেখার চৌধুরী।